এক গোত্রে বিবাহের শাস্তি! উত্তরপ্রদেশে প্রেমিক যুগলকে গুলি করে হত্যা বাড়ির লোকের
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার শেষ রাত্রের দিকে
উত্তর প্রদেশের প্রেমিক যুগলকে গুলি মেরে হত্যা করল মেয়েটির বাড়ির লোক। তাদের অপরাধ, তাদের দুজনের গোত্র এক। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার সকালে ছেলেটির মৃতদেহ আবিষ্কার করার পরেই ছেলেটির পরিবার মেয়েটির বাড়ির লোকের উপরে অভিযোগের আঙুল তোলে। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের এই অনার কিলিং কেস আবারো সমাজের একটি দিককে সামনে নিয়ে আসে। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা আশীষ বেশ কিছুদিন ধরেই সেই এলাকার বাসিন্দা বান্টির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু তাদের গোত্র এক হওয়ার কারণে বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ক মানতে অস্বীকার করে। ৪ বছর সম্পর্কে থাকার পরে ২ বছর আগে তারা দুজনে বিয়েও করে বলে খবর। কিন্তু শুক্রবার সকালে দুজনের মৃতদেহ আবিষ্কারের পরেই সমস্ত সম্পর্ক শেষ।
মৃত আশীষ সিং ( ২৫ ) এবং মৃতা বান্টি ( ২২ ), দুজনেই শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। এক গোত্র থাকার পরেও তারা দুজনে বিবাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বাড়ির লোকের বিরোধিতা করে। ২০১৯ সালে দুজনে বিয়েও করে। বিয়ের পরেই আশীষ বাড়ি ছেড়ে নয়ডা চলে আসেন কাজের জন্য। মাঝে মধ্যে বান্টির সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি আসতেন আশীষ। সেরকমই বৃহস্পতিবারও বান্টির সাথে দেখা করতে গ্রামে এসেছিলেন আশিষ। পরের দিন সকালে নোগোয়া নরত্তম গ্রামে তার বাড়ির লাগোয়া এলাকায় তার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর বান্টির দেহ পাওয়া যায় বাড়ির খাটে। দুজনের দেহেই একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল। এই ডবল মার্ডারের সম্পূর্ণ অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে মেয়ের বাড়ির লোকের দিকে। এলাকায় চাঞ্চল্য।
আশীষ-এর বাবা সুখপাল বান্টির বাবা কৃষ্ণপাল এবং তার বাড়ির ৪ সদস্যের উপরে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যুবতীর বাবা, দুই ভাই, তাদের গ্রামের প্রধান এবং দূর সম্পর্কের একজন প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যুবতীর আর দুইজন ভাই বর্তমানে ফেরার। উত্তর প্রদেশ সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গায় এখনও পর্যন্ত একই গোত্রে বিবাহকে মান্যতা দেওয়া হয়না। আর এর জন্য এর আগেও অনেক অনার কিলিং এর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য এফআইআর দায়ের করেছে। অন্যদিকে, মেয়েটির পরিবারের তরফে দাবি, মেয়েটির বড়ো ভাই বিগত ৫ দিন ধরে কাজের সূত্রে বাইরে আছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।