দেশে বাজেয়াপ্ত হওয়া অবৈধ অস্ত্রের মধ্যে অর্ধেকই উত্তরপ্রদেশের, জানাল সমীক্ষা
অবৈধ কার্তুজ সঞ্চয়ে প্রথম জম্মু-কাশ্মীর
২০২০ সালে দেশে বাজেয়াপ্ত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। আর তাতেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গেল বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্ধেক অস্ত্রই উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রাপ্ত।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ বর্ষে ভারতীয় অস্ত্র বিধি অনুযায়ী দেশে মোট ৬৭,৯৫৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩২,৭৭৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র। অনেকটাই পিছিয়ে ১০,৮৪১ টি বাজেয়াপ্ত হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে দ্বিতীয় স্থানে আছে মধ্যপ্রদেশ।
শুধু অবৈধই নয়, বাজেয়াপ্ত হওয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যাতেও ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছে যোগীরাজ্য। সমীক্ষানুযায়ী, সারা দেশে মোট ২,১২৬ টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১,৪০০ টি, যা প্রায় মোট অস্ত্রের ৬৫ শতাংশ।
তবে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিচারে প্রথম হলেও অবৈধ কার্তুজ সঞ্চয়ে জম্মু-কাশ্মীরের থেকে অনেকটাই পিছনে উত্তরপ্রদেশ। ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে মোট ২৭,১০৩ টি অবৈধ কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যা সারা দেশের উদ্ধারিকৃত কার্তুজের ৫০ শতাংশেরও বেশি। তবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উদ্ধার হওয়া বন্দুকের সংখ্যা মাত্র ৪৭৪ টি। উত্তরপ্রদেশ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া কার্তুজের সংখ্যা ১২,৯০৮। এছাড়াও পাঞ্জাব থেকেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬,৬৫৮ টি কার্তুজ। তবে বাকি রাজ্যগুলিতে সেই সংখ্যা না-বরাবর।
এমন তথ্য প্রকাশের পরেই চিন্তাপ্রকাশ করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যুগ্ম ডিরেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, বহু বছর ধরেই অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলির সরবরাহ তাঁদের কাছে মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে তিনি এও জানান, তাঁরা সাম্প্রতিককালে জানতে পেরেছেন, রাজ্যের লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক, পেশাদার শ্যুটার, এবং আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রেতাদের মধ্যে একটি চক্র চলে। তাঁরাই প্রধানত বুলেটের কালোবাজারির করে থাকেন। তবে এই চক্র শীঘ্রই বন্ধ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।