কুম্ভমেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে চারধাম যাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত উত্তরাখণ্ড সরকারের
গত ২৫ দিনে উত্তরাখণ্ডে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮০০ শতাংশ
বেলাগাম সংক্রমণের মাঝেই কুম্ভমেলার অনুমতি দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) প্রশাসন। বিনা মাস্কে জমায়েত হয়েছিল লক্ষাধিক মানুষের, যার ফলে পরিসংখ্যান বলছে গত ২৫ দিনে উত্তরাখণ্ডে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮০০ শতাংশ। মার্চের ৩১ তারিখ থেকে এপ্রিলের ২৪ তারিখের মধ্যে এই ব্যাপক সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কাজেই, একই ভুল করতে নারাজ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (CM) তিরথ সিং রাওয়াত (Tirath Singh Rawat)। আর সেই মোতাবেক কুম্ভমেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার চারধাম যাত্রা (Chardham Yatra) স্থগিত করল তিরথ সিং রাওয়াত।
উত্তরাখণ্ডের মুথ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত জানান, "করোনা পরিস্থিতির কারণেই চার ধাম যাত্রা চলতি বছর বাতিল করা হয়েছে। এই বছর শুধুমাত্র চার ধামের পুরহিতরা মন্দিরের পুজো ও আচার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।" উল্লেখ্য, গত বছরও করোনা সংক্রমণের জেরে বাতিল করার কথা হয়েছিল চারধাম যাত্রা। পরে অবশ্য অনুমতি দেয় সরকার। একাধিক নিয়ম মেনে পুন্যার্থীদের চারধাম যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এবছর বোধদয় ঘটল উত্তরাখণ্ড সরকারের। তবে শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডের সরকার নয়, কুম্ভমেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশের বিভিন্ন মহল থেকে মেলা বন্ধের দাবি উঠছিল। আর সেই দাবি এবারের চারধাম যাত্রাতেও এসেছে। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দির থেকে যে সব সেবায়িতরা হরিদ্বারের কুম্ভ মেলায় স্নান করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের করোনা হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতের এই পার্বত্য রাজ্যে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮৬৩। কিন্তু ১ এপ্রিল থেকে কুম্ভমেলা শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৩৩০। তাই আবারও ঝুঁকি না নিয়ে গঙ্গোত্রী, যমুনাত্রী, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ অর্থাৎ চারধাম যাত্রা বাতিল করল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।