বহাল থাকছে গদি! ৫ রাজ্যে গো হারা হারের পরও সভাপতির পদ সামলাবেন সোনিয়াই
যদিও সোনিয়া বলছেন, যদি প্রয়োজন হয়, দলের সাফল্যের জন্য তারা যে কোনও ত্যাগ করতে প্রস্তুত
দলের সভাপতি পদে বহাল থাকছেন সনিয়া গান্ধীই, তাকে টলাতে পারল না কেউ। এদিন ৪ ঘন্টা ব্যাপী চলা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। পাঁচ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মনিপুরে বিচ্ছিরি ভাবে হেরে গিয়েছে কংগ্রেস, এদিন বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনার পরে কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে দলের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেনুগোপাল বলেন, "পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনী ফলাফলে কংগ্রেস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।" পাশাপাশি পঞ্জাব নিয়ে বলা হয়েছে, "সীমিত সময়ের কারণে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।"
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে কংগ্রেস। ১১৭ টি আসনের মধ্যে আপ ৯২ টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মনিপুরেও কংগ্রেস পরাস্ত হয়েছে। সুরজেওয়ালা জানান, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি এবং দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভেনুগোপাল জানান, সিডব্লুসির বৈঠকে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন যে দল আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হবে।
সুত্রের খবর, পাঁচ রাজ্যে দলের ইনচার্জরা হারের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন বলে। কংগ্রেস মুখপাত্র সুরজেওয়ালা বলেছেন, প্রত্যেক দলের কর্মী চান রাহুল গান্ধী দলের নেতৃত্ব দিন। এবিষয়ে কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার একটি টুইট করে জানান, "যেমন আমি আগেও বলেছি, রাহুল গান্ধীর অবিলম্বে পুরো সময়ের ভূমিকায় কংগ্রেসের সভাপতিত্ব গ্রহণ করা উচিত। এটি আমার মতো লক্ষ লক্ষ কংগ্রেস কর্মীর কামনা।" যুব কংগ্রেসের প্রধান শ্রীনিবাস বিভি বলেছেন, "গান্ধী পরিবার হল সেই সুতো যা শুধু কংগ্রেসকেই নয়, দেশের সমস্ত অংশকে একত্রিত করে এবং এটি কোনও নির্বাচনী জয় বা পরাজয়ের উপর নির্ভর করে না।" প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে, রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সোনিয়া গান্ধী তারপরে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে আবার দলের লাগাম গ্রহণ করেন এবং এই পদে অধিষ্ঠিত হন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সনিয়া গান্ধী বলেছেন, কিছু মানুষ মনে করছেন গান্ধীরাই দলের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী। যদি প্রয়োজন হয়, দলের সাফল্যের জন্য তারা যে কোনও ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সব নেতাই জানিয়ে দেন সনিয়া গান্ধীকেই দলের সভাপতি পদে থাকতে হবে। পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন-সহ আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। সনিয়া গান্ধীকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।