ভোটগণনা করতে গিয়ে মৃত্যু অনেক শিক্ষকের, বয়কটের সিদ্ধান্ত RSS শিক্ষক সংগঠনের
নির্বাচন কমিশন শত আপত্তি সত্ত্বেও শিক্ষকদের ভোটের ডিউটি করতে বাধ্য করেছিল
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউতে রীতিমতো নাজেহাল গোটা দেশবাসী। প্রায় প্রতিদিন দেশজুড়ে ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনার কবলে পড়ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেই চলছিল একুশে বিধানসভা নির্বাচন পকেট কিছু রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন সম্ভবত অগ্রাহ্য করে ভোটের ডিউটিতে একাধিক শিক্ষককে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ডিউটি করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক শিক্ষক। তাই এবার বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা বন্ধ করে দিয়েছে আরএসএস শিক্ষক সংগঠন। আরএসএস ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন ভোট গণনা বয়কটের ডাক দিয়েছে। প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক ভোট গণনার জন্য ভোটগণনা কেন্দ্রে যেতে অস্বীকার করেছেন।
আসলে পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজনের শুরু থেকেই করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে একাধিক শিক্ষক সংগঠন তাতে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু কোন কথা শোনেনি নির্বাচন কমিশন। এক প্রকার জোর করে শিক্ষকদের ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়। গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে শিক্ষক সংগঠন গুলি স্থগিত করার আবেদন জানায়। আবেদন তো মানা হয় না, বরং উল্টে শিক্ষকদের ভয় দেখানো হয় ভোটে ডিউটি করার জন্য। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ডিউটিতে যেতে বাধ্য হয় শিক্ষকরা। কিন্তু তারপর থেকে প্রচুর শিক্ষকের মৃত্যু হয় ডিউটি করতে গিয়ে। এই প্রসঙ্গে আরএসএস অনুমোদিত শিক্ষক সংগঠন দাবি করেছে, "আমরা শিক্ষকদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভোট গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষকরা ভীষণ ভয় পাচ্ছে। সরকার শিক্ষকদের নিয়ে চিন্তিত নয়। ভোটের ডিউটিতে গিয়ে ৭০৬ জন শিক্ষকের প্রাণ গেছে। এই সংখ্যাটা আরো বাড়বে। তাই সবদিক থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা ভোট গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"