গর্জে উঠুন, নয়তো মোদী সরকার দেশটা বিক্রি করে দেবে, কৃষকসভায় বিস্ফোরক রাকেশ টিকাইত
সস্তায় শ্রমিক নিয়োগ করা হবে শ্রম আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে : রাকেশ টিকাইত
বিতর্কিত কৃষি আইন (Farm law) নিয়ে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। আর তাতেও লাভ না হতে এবার কর্ণাটকেও (Karnataka) কৃষকদের আন্দোলন শুরু করার ডাক দিলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait)। ইতিমধ্যেই তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলে ওড়িশাতে সফর শেষ কলেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। কৃষি আইন বাতিলের পাশাপাশি তিনি মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের ক্ষেত্রেও কোনও আপস করা হবে না বলে জানান। এর সাথেই আর্জি জানালেন, এই ‘কালা কানুনে’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক দেশের প্রতিটি শহর।
শনিবার কর্ণাটকের শিবামোগায় কৃষকদের সভায় রাকেশ টিকাইত বলেন, "তিন লক্ষ মানুষ দিল্লি ঘেরাও করেছে। এই লড়াই দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। আর এই প্রতিবাদ আমাদের দেশের সব শহরেই দেখাতে হবে। যতদিন না এই তিন কালো আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় এবং এমএসপির উপরে আইনটিও কার্যকর না করা হয়। কর্ণাটকেও আপনাদের প্রতিবাদ শুরু করতে হবে। আপনাদের জমি কেড়ে নেওয়ার ফন্দি করা হচ্ছে। এবার বড় বড় সংস্থাগুলি চাষ করা শুরু করবে। সস্তায় শ্রমিক নিয়োগ করা হবে শ্রম আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।”
তাঁর সাফ কথা, "যদি কৃষকরা প্রতিবাদ না করে, এই দেশ বিক্রি হয়ে যাবে। ২০ বছরের মধ্যে আপনারা আপনাদের জমি হারাবেন। প্রায় ২৬টি পাবলিক সেক্টর ইউনিটের বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। এটা আটকাতে আমাদের চেষ্টা করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন, আপনারা আপনাদের শস্য যে কোনও জায়গায় বিক্রি করতে পারবেন। সেই মতো আপনারাও আপনাদের শস্য নিয়ে যেতে পারেন জেলার কালেক্টরের অফিসেও। পুলিশ যদি আটকায় তাহলে তাদেরই বলুন এমএসপিতে শস্য কিনে নিতে।”
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে বাংলা সফরে এসে টিকাইত বলেন এর পরের টার্গেট সরাসরি সংসদ। কৃষকদের কেউ আটকাতে পারবে না। সংযুক্ত মোর্চা সংসদে নতুন মান্ডি খুলবে। সেখান থেকেই কাজ করবেন কৃষকরা। দিল্লি ফের ঘিরবে ট্রাক্টর।