করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকা প্রসঙ্গে সরব রাহুল গান্ধী, প্রকাশ করলেন ১৫০ পাতার শ্বেতপত্র
কেন্দ্র চেষ্টা করলে করোনা মৃতদের ৯০ শতাংশকে বাঁচাতে পারত বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু থেকেই করোনা (Corona) সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে জেরবার গোটা দেশ। এই পরিস্থিতির জন্য বারংবার কেন্দ্র সরকার কাঠগড়ায় উঠেছে। এবার ফের করোনা মোকাবিলা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফ থেকে রাহুল গান্ধী একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন যা আদতে কেন্দ্রের রিপোর্ট কার্ড। কংগ্রেসের (Congress party) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই শ্বেতপত্র কেন্দ্রের সমালোচনা নয়। এতে তৃতীয় ঢেউ থেকে দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সরাসরি না বললেও ইঙ্গিতপূর্ণভাবেই রাহুল গান্ধী বলেছেন, "কোভিড মৃতদের ৯০ শতাংশকে বাঁচানো যেত যদি কেন্দ্র সরকার কোনো সুনির্দিষ্ট পথ অবলম্বন করত। অক্সিজেনের অভাবে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী না কেঁদে অক্সিজেনের জোগাড় করলে অনেকেই হয়তো বেঁচে যেতেন।"
এছাড়াও রাহুল গান্ধী বলেছেন, "খুব শীঘ্রই হয়তো ভারতে করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ আসছে। তাই আমরা অনুরোধ করছি যাতে কেন্দ্র আগে থাকতেই তার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটা স্পষ্ট যে প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কেন্দ্রের মোকাবিলা করার পদ্ধতি ছিল খুবই বাজে। তার জন্যই এতজন মানুষের প্রাণ হারিয়েছে। আমরা তাদের বাজে পদ্ধতির উদাহরণ চোখের সামনে তুলে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আগে থাকতে প্রস্তুত করতে চাই। যেভাবে করোনা ভাইরাস তার চরিত্র বদল করছে তাতে তৃতীয় আঘাতের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে।"
সেইসাথে রাহুল গান্ধী করোনায় মৃত পরিবারকে "ক্ষতিপূরণ" দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান সম্বন্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, "এটা কোন উপহার নয়। ক্ষতিপূরণ হল করোনায় মৃতদের পরিবারগুলির প্রাপ্য অধিকার। কেন্দ্র পেট্রোল ডিজেল থেকে ৪ লাখ কোটি টাকা কর পাচ্ছে। সেটা যাদের পরিবারের মানুষ মারা গেছেন, তাঁদের পকেট থেকেও গিয়েছে। রোজ সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাহলে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না?" এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের টিকাকরণ নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে তিনি জানিয়েছেন, "ভারত সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বারবার নিজের মার্কেটিং করে যাচ্ছেন। কখনো তালি বাজানো কখনো থালি বাজানো, কখনো প্রদীপ জ্বালানো। এসব দেড় বছর বাদে করোনাকে হারিয়ে করলে ভালো হত।"