"দলিত কি বেটি ভি দেশ কি বেটি হ্যায়" দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডে নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা রাহুল গান্ধীর
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন
দিল্লির ন বছরের নাবালিকা দলিত কন্যার ধর্ষণ (Delhi Rape Case) করে খুনের ঘটনায় অভিযোগের পারদ চড়ছে। এই ঘটনাকে সামাজিক মাধ্যমে কুখ্যাত হাথরস ধর্ষণ কাণ্ডের (Hathras Case) সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকেই। শুধুমাত্র ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ নয়, পুলিশকে না জানিয়ে নিগৃহীতার পরিবারকে হুমকি দেখিয়ে দেহ দাহ করার অভিযোগও উঠেছে। এই বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পুরানো নাঙ্গাল গ্রামে। সূত্রের খবর, গত রবিবার রাতে বাড়ির পাশে শ্মশানের কুলার থেকে জল আনতে গিয়েছিল এই নাবালিকা। দীর্ঘক্ষণ ঘরে না ফেরায় এই শ্মশানের পুরোহিত সেই নাবালিকার মাকে জানায় কুলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেয়েটি মারা গেছে। এমনকী নাবালিকার বাবা-মায়ের অগোচরে ওই পুরোহিত মেয়েটির দেহ ওই শ্মশানেই দাহ করে ফেলে। যা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় মেয়েটির পরিবারের। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ পুরোহিত-সহ আরও তিনজন তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে।
এই ঘটনা ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় স্তরে আলোড়ন তৈরি করেছে। গতকাল রাহুল গান্ধী দিল্লির এই ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, "দলিত কি বেটি ভি দেশ কি বেটি হ্যায়"। আজ তিনি সেই নিহত বালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি লিখেছেন, "পিতা-মাতার কান্না শুধু একটা কথাই বলছে, তাঁর মেয়ে, দেশের মেয়ে, ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য। আমি এই ন্যায়ের পথে তাঁদের সাথে আছি।"
অন্যদিকে গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, "এ দেশে তফসিলি জাতির মহিলাদের প্রতিদিনের যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কতটা অনুভূতিহীন।" অর্থাৎ দিল্লির এই ঘটনায় সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এক টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপিকে ট্যাগ করে লিখেছেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নজরদারিতে থাকা রাজধানীতেই মেয়েটিকে ধর্ষণ ও জোর করে পুড়িয়ে দেওয়া হল বলে অভিযোগ।... দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নড়বড়ে। অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ যে রাকেশ আস্থানাকে সম্প্রতি দিল্লির পুলিশ কমিশনার করা হল, তিনি এখন থেকেই কাজে ব্যর্থ হতে শুরু করলেন? নাকি অন্যান্য কাজ সামলাতেই তাঁকে আনা হল? লজ্জা।"
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন। তিনিও টুইটারে এই বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দোষীদের ফাঁসি দাবি করেছেন। দিল্লির এই দলিত কন্যার ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে গভীর আলোড়ন তৈরি করেছে। এমন ঘৃণ্য, জঘন্যতম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।