বিহারের রেল-চাকরিপ্রার্থীদের দমন করা বন্ধ করুক কেন্দ্র, টুইটে ঝড় তুললেন প্রিয়াঙ্কা
আজকে বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে টুইট করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
আরআরবি নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরি গ্রুপ ডি পরীক্ষার কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষার ফলে অনিয়মের জন্য ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা বিহার। একদিকে দেশে পালিত হচ্ছে গণতন্ত্র দিবস, অন্যদিকে গয়া স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে চালালো বিক্ষোভ। পুলিশকে নিশানা করে হলো ব্যাপক ইট বৃষ্টি। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বিহারের গয়া স্টেশন। এই একই ছবি বিহারের সমস্তিপুর, পাটনা এবং ছাপড়া জেলায়। সোমবার বিকেল থেকেই সিতামারহি, মুজাফফরপুর, বিহার শরিফ, নওয়াদা, আরা, বক্সার এবং ভাবুয়া এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
বিহারের রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরি গ্রুপ ডি কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়ম থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত এই বিক্ষোভের আঁচ টের পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পর্যন্ত এই বিক্ষোভ নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠেছেন। রেলমন্ত্রী নিজেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে, তাদেরকে পাবলিক প্রপার্টির উপরে আক্রমণ না করার আরজি রেখেছেন। আরআরবি এনটিপিসি এবং লেভেল-ওয়ান পরীক্ষা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তার মধ্যেই, কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আজ টুইটারে তিনি, কেন্দ্রীয় সরকারের এই দমননীতিকে কটাক্ষ করে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। তবে, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পথে না হেঁটে, অহিংসার পথ গ্রহণ করতেও বার্তা দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা লিখলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে আন্দোলনকারীদের এই আন্দোলনকে দমন এবং তাদেরকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করছে, তার কঠোর বিরোধিতা করছি আমি। সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুটি পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সমস্যার সমাধান করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলুক। তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করুক। ছাত্রদের হোস্টেলে ঢুকে ভাঙচুর বন্ধ করুক সরকার। এভাবে চাকরিপ্রার্থীদের দমন করার কড়া নিন্দা করছি আমি।' প্রিয়াঙ্কা আরও দাবি রাখলেন, সরকার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার হওয়া সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের মুক্তি দেয়, এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো একবার নতুন করে শুরু করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে।