নাগাল্যান্ডের ১৩ জন বেসামরিককে হত্যার অভিযোগে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করল পুলিশ
ডিমাপুর-ভিত্তিক সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
নাগাল্যান্ডের মন জেলায় গত বছর ৪ ডিসেম্বর ১৪ জন অসামরিক লোককে হত্যার ঘটনায় পুলিশের চার্জশিটে ৩০ জন সেনার নাম উল্লেখ করা হল। রাজ্যের পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য নাগাল্যান্ড সরকার কর্তৃক গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্ত দল বা এসআইটি। তাঁদের চার্জশিটে একজন সেনা কর্তা এবং ২৯ জন জওয়ানের নাম রয়েছে। এসআইটি (SIT) অভিযোগ করেছে যে ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন পদ্ধতি বা এসওপি অনুসরণ করেনি।
বিষয়টা ঠিক কি? ডিমাপুর-ভিত্তিক সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মায়ানমার সংলগ্ন ওই গ্রামে জঙ্গিদের যাতায়াত বাড়ছে, এই সন্দেহে সেখানে টহলদারির সময় একটি পিকআপ ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালান ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানরা। যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় ৬ জনের। জঙ্গি সন্দেহে গুলি চালিয়ে গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে টিরু গ্রাম। স্থানীয়রা সেনা জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তাদের ওপর সেনাবাহিনী আবার গুলি চালায়। তাতে আরও ৭ জন অসামরিক লোক নিহত হয়। সংঘর্ষে এক সেনাও নিহত হয়। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, পরের দিন অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর জনতা ওই এলাকায় অসম রাইফেলসের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে আবারও একজন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়, এতে মোট অসামরিক মানুষের মৃত্যুর বেড়ে হয় ১৪।
ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তার অনুমোদন চেয়েছে। নাগাল্যান্ড সরকার এসআইটি ছাড়াও, একটি পৃথক সেনা দল ঘটনাটি তদন্ত করছে। সেনাবাহিনীর তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন মেজর জেনারেল, যিনি ইতিমধ্যেই ওটিং গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনাটি ঘটানো পরিস্থিতি বোঝার জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।