মাত্র ১ বছরে জম্মু কাশ্মীরে ৬৪% সন্ত্রাসবাদী যুবদের খতম করেছে জওয়ানরা, বিপাকে লস্কর-ই-তৈয়বা
গত পাঁচ মাসে ৭০ থেকে ৭৫ জন যুবক কাশ্মীর ভ্যালির বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী দলে যোগদানকারী যুবকদের ৬৪% বেশী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে গত ১ বছরে। অন-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্কের সাহায্যে নিরাপত্তা বাহিনী এই বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান বাড়িয়েছে, রবিবার এমনটাই জানালেন এক নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত পাঁচ মাসে ৭০ থেকে ৭৫ জন যুবক কাশ্মীর ভ্যালির বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে।
তাঁরা জানিয়েছেন, জানুয়ারী থেকে মে মাসের মধ্যে উপত্যকায় নিহত মোট ৯০ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে ২৬ জন পাকিস্তানি নাগরিক। পাশাপাশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল AK অ্যাসল্ট রাইফেল, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস এবং স্টিকি বোমাসহ আরও বহু জিনিস। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করার সময় এনকাউন্টারে নিহত হওয়া ৯০ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে ছয়জনকে নিয়ন্ত্রণ রেখাতেই নির্মূল করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা বলেছেন, "এর ফলে পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
দক্ষিণ কাশ্মীরের চার জেলা - পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, কুলগাম এবং শোপিয়ান থেকে ৫৯ সন্ত্রাসীকে হত্যা এবং ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার খবর মিলেছে। অন্যদিকে রাজধানী শ্রীনগরে চারজন পাকিস্তানী সন্ত্রাসী সহ ১১ জন নিহত হয়েছে ও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় সাতজন সন্ত্রাসী নিহত এবং আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গান্ডারবাল জেলায় একজন জঙ্গী নিহত হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ান্ত জেলায় পাঁচ বিদেশী সহ ছয় সন্ত্রাসী, বারামুল্লায় তিন বিদেশী এবং বান্দিপোরায় দুই বিদেশী সহ আরও তিনজন নিহত হয়েছে। বারামুল্লা জেলায় ১৮ জন সন্ত্রাসীকে এবং বান্দিপোরা জেলায় অন্য পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, "নিহত ও গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল এবং পিস্তল সহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।"