Olympics : সরকারি অনুষ্ঠানের সিংহভাগ জুড়ে মোদীর ছবি, পদক জিতল কে প্রশ্ন নেটিজেনদের
"শুধু অভিনন্দন নয়, খেলোয়াড়দের বকেয়া টাকা দিন" কটাক্ষ রাহুলের
টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics) সাফল্যের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। একের পর এক রেকর্ড তৈরি করে এবারের অলিম্পিক্সে বিশ্বের কাছে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন অলিম্পিয়ানরা। আটবারের সোনাজয়ী ভারতীয় হকিদলের ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় কম কৃতিত্বের নয়। আর সব রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে নীরজ চোপড়ার স্বর্ণপদক। নীরজ চোপড়া এখন দেশের হার্টথ্রব। নেটমাধ্যমে যাঁকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই।
গতকাল বিজয়ী অলিম্পিয়ানদের এক সরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্বর্ধিত করা হয়। বিজয়ীদের উপস্থিতির পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের বিশিষ্টজনেরা। তবে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই অনুষ্ঠানের ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে মঞ্চের পেছনের ছবির সিংহভাগ জুড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ। আর তুলনায় ছোট বৃত্তের মধ্যে বিজয়ী সাত অলিম্পিয়ানের ছবি। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কম হাসিঠাট্টা হয়নি। বিরোধীদের একাংশ বলছেন, টোকিও অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন কারা? নাকি উনিই জিতেছেন?
এখানেই শেষ নয়, টোকিও অলিম্পিক্সে চলাকালীন কিংবা অলিম্পিক্সে যাওয়ার আগে বারবার প্রধানমন্ত্রী অলিম্পিয়ানদের চাঙ্গা করতে কখনও সরাসরি কিংবা কখনও সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। সরাসরি কথা বলে তাঁদের মনোবল বাড়িয়েছেন। পরাজয়ে ভেঙে পড়া নয়, বরং যেভাবে লড়াই করেছেন তার জন্য কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যানারের সিংহভাগ জুড়ে নিজের ছবি আর এক কোনায় বিজিত অলিম্পিয়ানদের ছবি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক আর মশকরায় মশগুল আম-জনতা।
এদিকে গত কয়েক বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে মোদী সরকার ক্রমাগত বরাদ্দ কমিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। এমনকী আগের বাজেটে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ছাঁটা হয়েছে বলে অভিযোগ এই কংগ্রেস নেতার। এখানেই শেষ নয়, হরিয়াণা সরকারকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাহুল। এক টুইটে তিনি বলেছেন, "শুধু অভিনন্দন নয়, খেলোয়াড়দের বকেয়া টাকা দিন। এবার অন্তত পুরস্কার ঘোষণার টাকাটা দেওয়া হোক, ভিডিও কল অনেক হয়েছে।" শুধু রাহুল গান্ধী নয়, গতকালের সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এই ছবি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কম বিতর্ক হয়নি। আম-জনতার স্পষ্ট দাবি, এত ঢক্কানিনাদের কিছু নেই। ওঁদের জন্য আরও ভাবা প্রয়োজন।