নতুন নোট ছাপানোর কোনও সম্ভবনা নেই : নির্মলা সিতারামন
২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) ৭.৩ শতাংশ সংকোচন দেখেছে
করোনা মহামারির প্রকোপে দেশ এক অদ্ভুত অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। বিগত বছরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ১২ কোটি মানুষ। দেশের জিডিপি নিম্নমুখী হতে হতে ঋণাত্মকের মুখ দেখেছে। এমতাবস্থায় অর্থনীতির হাল ফেরাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছরই পরামর্শ দিয়েছিলেন নতুন নোট ‘ছাপিয়ে’ তা দেশবাসীর মধ্যে বিলিয়ে দিতে। যদিও সেই দাবী নিয়ে সেই সময় বেশ জলঘোলা হয় দেশের রাজনীতিতে। এবার দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন সরাসরি বলে দিলেন, কেন্দ্র সরকারের নতুন নোট ছাপানোর কোনও উদ্দেশ্য অন্তত এই সময় নেই। সোমবার তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন।
এদিন তিনি লিখিতভাবে লোকসভায় জানান, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের গ্রোস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। সাথে তিনি এও জানান, এই সংকোচন অতিমারির অসমান্তরাল প্রভাব ও তাকে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লকডাউনের প্রভাব কমার সাথে সাথে এই পরিস্থতি কাটিয়ে ওঠার রসদ পাচ্ছে ভারতীয় অর্থব্যবস্থা। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পও ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে বলেই তাঁর দাবী।
প্রসঙ্গত, গত বছর অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে তোলার জন্য আত্মনির্ভর ভারতের আওতায় প্রধানমন্ত্রী ২৯.৮৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন, যা ছিল ভারতের মোট ইকোনমির ১০ শতাংশ। এই অর্থ দেশের অর্থনীতিকে ‘বুস্ট’ করতে সাহায্য করেছে বলেই মত অর্থমন্ত্রীর। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ এর কেন্দ্রীয় বাজেট দাবী করেছে, ২০২২ এর মার্চের মধ্যে ভারতের নমিনাল জিডিপি গ্রোথের পরিমান থাকবে ১৪.৪ শতাংশ।