মায়ের জন্মদিনে মোবাইলে কথা বলতে চেয়ে মেলেনি অনুমতি, অভিমানে হস্টেলেই আত্মঘাতী স্কুল পড়ুয়া
অনেক কাকুতি-মিনতির পরও হস্টেল ওয়ার্ডেন তাকে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি, অভিমানে আত্মঘাতী ছাত্র
নাবালক ছেলেটি স্কুল হস্টেলে (School Hostel) থাকে। হস্টেলে কড়া প্রহরী। মায়ের জন্মদিন, সে চাইছিল একটু মায়ের সঙ্গে কথা বলতে। হস্টেল ওয়ার্ডেনের কাছে বারবার অনুরোধ করেছিল সে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চায়। এত অনুরোধের পরও বরফ গলেনি। সেই দুঃখ সে মেনে নিতে পারেনি। অভিমানে আত্মঘাতী হল সেই বছর ১৪-র এক ছাত্র।
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ঘটেছে। কর্নাটক পুলিশ সূত্রে খবর, কর্নাটকের এক স্কুলে পুরভাজ নামের এক ছাত্র হস্টেলে থাকত। তার বাড়ি বেঙ্গালুরুর হোসাকোটে এলাকায়। গত ১১ জুন ছিল তার মায়ের জন্মদিন। স্বভাবতই মায়ের জন্মদিনে সে মাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছিল। বারবার বলার পরেও হস্টেল ওয়ার্ডেন কোন সাড়া দেয়নি। এমনকী পুরভাজের বাড়ির লোকজন অনেকবার ফোন করলেও পুরভাজের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।
কেন এমন হল? সূত্রের দাবি, পুরভাজের সঙ্গে কারোর কথা বলার অনুমতি ছিল না। আরও খবর, মায়ের জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে অল্প একটু সময়ের জন্য কথা বলতে সুযোগ পায়নি পুরভাজ। অভিমানে মায়ের জন্মদিনের রাতেই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগায় বলে অভিযোগ। সুইসাইড নোটে তার আত্মঘাতীর কথা লিখে দিয়ে গেছে।
পরের দিন সকালে হস্টেলের বাকি ছাত্ররা পুরভাজের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় হস্টেল কর্তৃপক্ষকে। খবর যায় পুরভাজের পরিবারের লোকজনদের কাছে। হস্টেল পৌঁছায় তার বাবা-মা। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া। কর্নাটক পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।