কেন্দ্রের নতুন আইটি গাইডলাইন আপনার গোপনীয়তা কতটা রক্ষা করবে? জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 26/05/2021   শেষ আপডেট: 26/05/2021 9:57 p.m.
WhatsApp

কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সরাসরি বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করলেন

বিগত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তরফ থেকে জারি করে দেওয়া হয়েছিল একটি বিশেষ নির্দেশিকা যাতে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং বেশ কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উপর নিয়ে আসা হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মকে দেওয়া হয়েছিল তিন মাসের সময়। হিসাব মত ২৫ মে ছিল শেষদিন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার এই নির্দেশিকা মেনে চলার ক্ষেত্রে রাজি হলেও কিছু বিষয় আলোচনা করতে চেয়েছে তারা। কিন্তু এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপকে শুধুমাত্র শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, "ভারতের মানুষের সমস্ত রকমের গোপনীয়তা বজায় রাখার সমস্ত চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র অত্যন্ত ঘৃণ্য মেসেজ, ধর্ষণের হুমকি, নগ্নতা, অশ্লীল ছবি, এবং এরকম কিছু পোস্টের ক্ষেত্রে এই এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ভেঙে দেওয়া হবে। এর ব্যতীত ভারতীয় নাগরিকদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করার কোনো রকম ইচ্ছা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের।"

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আরো জানানো হয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার মতো বেশ কিছু রাষ্ট্রে সোশ্যাল মিডিয়া ফার্মে গর্হিত কোন কাজ করা হলে আইনগতভাবে ওই ব্যক্তিকে আটক করার নির্দেশ রয়েছে। ভারতে ওই সমস্ত দেশের থেকে অনেক কম হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ শুধুমাত্র মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য দাবি করতে শুরু করেছিল, 'ভারতের আইটি গাইডলাইন সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী'। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সুরক্ষার অধিকার সমস্ত মানুষের একটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়টি ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করা হবে।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, "ভারতের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে সার্বভৌমত্ব এবং সুরক্ষার অধিকার পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর। তার পাশাপাশি আইন ব্যবস্থা, জাতীয় সুরক্ষা সমস্ত কিছুই কেন্দ্রীয় সরকার রক্ষা করবে। হোয়াটসঅ্যাপ যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে পারবে, এই অ্যাপ্লিকেশনের সাধারণ কাজকর্মের উপর কোনো রকম কোনো প্রভাব পড়বে না ভারতের এই আইটি আইনের। কিন্তু যদি তদন্তের ক্ষেত্রে এবং কারো বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার ক্ষেত্রে হোয়াটস্যাপের এই সমস্ত মেসেজ প্রয়োজন পড়ে তাহলে হোয়াটসঅ্যাপকে মেসেজ প্রেরকের সমস্ত ডিটেলস জানাতে হবে। ভারতের অখন্ডতা, সার্বভৌমত্ব যদি কোনোরকম কোনো মেসেজ খন্ডন করে, শুধুমাত্র সে ক্ষেত্রে এই এনক্রিপশন ভাঙ্গা হবে।"