নাগাল্যান্ডের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাপ্রধান জানালেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে গত মাসের নাগাল্যান্ড গনহত্যা নিয়ে মন্তব্যটি করেন
গত ৪ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলায় অটিং গ্রামের কয়লাখনি শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার সময় সেনাবাহিনী তাদের উপর গুলি চালায় এবং ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।নিষিদ্ধ সংগঠন NSCN(K) এর ইউং অং উপদলের বিদ্রোহী সন্দেহে তাদের উপর গুলি চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে।
২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্স দ্বারা হওয়া এই হত্যাকান্ডের পর ওই এলাকায় কারফিউ জারি করা হয় এবং কহিমার হর্নবিল উৎসব বাতিল করা হয়।এই নির্মম ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাগাল্যান্ড সহ সমগ্র উত্তর পূর্ব এলকা তীব্র প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনগন সেনাবাহিনী তথা সেনাবাহিনী কে বিশেষ খমতাপ্রদানকারী আইন AFSPA- র প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেয়।
আর্মি চিফ আজ জানান যে গতমাসে হওয়া ঘটনাটি অনুশচিয় ও একইসঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ।তিনি আরো বলেন যে “তদন্তের ভিত্তিতে উপযুক্ত ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে”। তদন্তকারী দল ইতিমধ্যে মৃতদের গ্রাম ও পরিবারের সাথে দেখা করেছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যার কারণ ও পরিস্থিতি নিরুপনের চেষ্টা করেছে।যদিও স্থানীয় দল কোন্যাক ইউনিয়ন তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
ঘটনার পরই নাগাল্যান্ড পুলিশ ২১ প্যারা S F সেনাদলের বিরুদ্ধে এফ আই আর জারি করেছে এনবং তারা এই বিষয়ে মন্তব্য করেছে যে সেনাদলের উদেশ্যই ছিল “নির্দোষ জনগনকে আহত ও নিহত করা”
সমগ্র ঘটনাটি AFSPA বিরোধিতাকে আরও ইন্ধন যুগিয়েছে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনার্ড সংমা আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন।গত সোমবার শত শত জনগন দিমাপুর থেকে কোহিমা পর্যন্ত AFSPA বিরোধী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন।যদিও প্রাণহানি ও জনারোষ কে উপেক্ষা করে নাগাল্যান্ডে AFSPA-র সময়সীমাকে আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।AFSPA নাগাল্যান্ড সহ আসাম, মনিপুর (রাজধানী ইম্ফল বাদ দিয়ে),আংশিক অরুনাচল প্রদেশ এবং কাশ্মীরে জারি আছে।