Mann Ki Baat: নতুন বছরে প্রথম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মোদীর গান্ধী স্মরণ
সকল দেশবাসীকে ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়াম ঘুরে আসার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী
নতুন বছরের প্রথম 'মন কি বাত' (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ বাপুর মৃত্যুদিন। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে সম্প্রীতি দিবস। এদিনের ভাষণের শুরুতে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর দেশের প্রতি অকৃত্রিম অবদান স্মরণ করলেন তিনি।
এর আগের ৮৪ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে ভারত কোভিডের মতো মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম হয়েছে, একথা তুলে ধরেছিলেন। কোভিডের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে দেশ যে পুরমন্ত্রী প্রস্তুত, সেকথা বলেছিলেন। গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারির বিরুদ্ধে দেশ লড়তে সক্ষম হয়েছে। এ কম গৌরবের কথা নয়, বলে শ্রীমোদী উল্লেখ করেছিলেন।
এদিনের ৮৫ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ভাষণের শুরুতে গান্ধীজির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। দেশ বাপুজির আদর্শ, চেতনা এবং স্বপ্নকে পূরণ করতে বদ্ধপরিকর, একথা বলেন তিনি। দেশের সকল মানুষের কাছে ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়াম দেখে আসার আবেদন করেছেন তিনি। ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতের সেনা দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দেশের শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভারতীয় সেনার নিরন্তর প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে চলছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরভর নানা অনুষ্ঠান চলছে। ভারত গোটা বিশ্বের কাছে ক্রমশ প্রতিনিধি স্থানীয় দেশ হয়ে উঠছে, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গোটা দেশ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক কোটিরও বেশি মানুষ ডাকটিকিটের মাধ্যমে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান নিয়ে চিঠি লিখেছেন। দেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে তাঁদের চিন্তা, অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তরুণ প্রজন্ম দেশের ভবিষ্যত। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গীকৃত আত্মবলিদান, বর্তমান দেশের ভিত্তিভূমি। প্রধানমন্ত্রী শ্রীমোদী এদিনের ভাষণে তাঁদেরকে স্মরণ করেন।
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের এক তরুণ অভাবনীয় কৃতিত্বের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। মণিপুরের এক ২৪ বছরের যুবক নিরঞ্জয় সিং এক মিনিটে ১০৯ বার আপের গ্রিনেস রেকর্ড তৈরি করেছেন। যা গোটা দেশের যুব সমাজকে শরীরচর্চায় নতুন প্রেরণা দেবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে একটি বিশ্বমানের ফুটবল স্টেডিয়াম। যেখানে ৩০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। বিশ্বের ফুটবল সংস্থা ফিফা এই স্টেডিয়ামকে মান্যতা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।