নীতীশ কুমারের রাজ্যেই ভাঙ্গা হলো গান্ধীজীর মূর্তি, সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে
বিহারের চম্পারন সত্যাগ্রহের শত বার্ষিকী উদযাপনের জন্য যে গান্ধী মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, সেই মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর
চম্পারন সত্যাগ্রহের শতবার্ষিকী উদযাপনের সময় চরখা পার্কের ভিতর মহাত্মা গান্ধীর একটি অবয়ব স্থাপন করা হয়েছিল। এবারে সেই মূর্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল সোমবার। সকালে বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার মতিহারিতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। কে বা কারা এই মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি দায়ী তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে মহাত্মা গান্ধীর এই মূর্তি ভেঙে মাঠের পাশে ফেলে দেয়। মূর্তিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই চম্পারন জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর আশিস কুমার জানিয়েছেন, যারা মূর্তি ভাঙ্গার পেছনে দায়ী তাদের বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ওই একই জায়গায় নতুন করে গান্ধীজীর মূর্তি স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
এই ঘটনার পর বিহার সরকার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার দায়ে আইপিসি সেকশন ২৯৫ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে গান্ধীজীর মূর্তি ভাঙার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে নিতিশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক মহলে শোরগোল। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর পুনরায় গান্ধীজীর মূর্তির নতুন করে স্থাপন করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন জেলাশাসক শিরাসাত কপিল অশোক। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ওই জায়গায় নতুন মূর্তি স্থাপন করবে প্রশাসন।