পেট্রোল-ডিজেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৫ দিনের জন্য বিক্ষোভে নামবে বাম দলগুলি

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 14/06/2021   শেষ আপডেট: 14/06/2021 6:51 a.m.
facebook.com/cpimcc

জেনে নিন কবে থেকে শুরু হচ্ছে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি

তেলের দাম বৃদ্ধি, এবং বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী বুধবার থেকে ১৫ দিনের জন্য দেশব্যাপী লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে ভারতের সমস্ত বামদলগুলি। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) , কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক, রিভলিউশনারি সোশালিস্ট পার্টি (আরএসপি) এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)- লিবারেশন একসাথে রবিবার একটি যৌথ ঘোষনাপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে। এই ঘোষণাপত্রে তারা জানিয়েছে আগামী ১৬ জুন থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি তারা শুরু করবে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে এই বিক্ষোভের পথে হাঁটতে চলেছে বামদলগুলি।

জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, ওষুধের দাম বৃদ্ধি, এবং পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব হতে চলেছে ভারতের সমস্ত বাম দল। বামফ্রন্টের তরফে আজ একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "পেট্রোল ডিজেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতি একটি অত্যাচার। করোনা ভাইরাসের থেকে মানুষকে মুক্তি না দিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২ মে থেকে ২১ বার দাম বৃদ্ধি হয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের। মানুষ বর্তমানে সবথেকে বড় ভুক্তভোগী আর তার দায় শুধুমাত্র মোদি সরকারের।"

বাম দলগুলির আরো অভিযোগ, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এমন একটা সময়ে করা হচ্ছে যখন ভারতের সমস্ত জিনিসের অভাব তৈরি হয়ে গেছে, মানুষের হাতে কোন কাজ নেই, মানুষ সাধারণ জিনিস ন্যায্য দামে কিনতে পারছে না, যার ফলে গরিবের সংখ্যা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এই একটা সময়ে যেরকমভাবে জিনিসপত্রের কালোবাজারি এবং ব্যানার-পোস্টারিং চালানো হচ্ছে, সেই দেখে বোঝাই যাচ্ছে মোদি সরকার তেমন কোন কাজ করছে না। এই মুহূর্তে, মোদি সরকারের সব থেকে আগে যেটা কর্তব্য সেটা হলো, সমস্ত জিনিসের কালোবাজারি বন্ধ করা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য এবং অন্যান্য জিনিসের দাম কমানো।

বাম দলগুলি দাবি জানিয়েছে, মোদি সরকারের উচিৎ যে সমস্ত মানুষ আয়করের ট্যাক্স পেইং ব্র্যাকেটের মধ্যে পড়েন না তাদের অন্তত ৬ মাসের জন্য প্রতি মাসে ৭,৫০০ টাকা করে দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারেন। তবে শুধু কেন্দ্রীয় স্তরে না, প্রতিটি রাজ্যের বাম সংগঠনকেও জানানো হয়েছে যেনো তারাও এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন, কোভিডের সমস্ত প্রোটোকল মেনে।