নিউ ইয়ারে হবে না কোনও পার্টি, রাজ্যে ফের জারি হতে চলছে নাইট কার্ফু
করোনাভাইরাসের কেস হু হু করে বাড়তে থাকায় নাইট কারফিউ জারি করার এবং নিউ ইয়ার পার্টি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার
বড়দিন এবং নিউ ইয়ারের প্রাক্কালে হঠাৎ করেই ভারতের জন্য নতুন ত্রাস হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস এর নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজ মিলছে, যা রীতিমতো ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বাসিন্দাদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই কিছু রাজ্যে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। অন্যদিকে, সোমবার রাতে কেরল সরকার ঘোষণা করল, আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা রাজ্যে চলবে নাইট কারফিউ। রাত্রি ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচলের উপরে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে কেরলে করোনাভাইরাস কেস হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে কেরল সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নাইট কারফিউ জারি করার ঘোষণা করলেন।
কারফিউ এর সময় রাত্রে ১০টার আগে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না। জনসমাগম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে রাত্রে। এছাড়াও বার, হোটেল, ক্লাব এবং রেস্টুরেন্টগুলি রাত ১০টার আগে বন্ধ করতে হবে। কোনরকম নিউ ইয়ার ইভ পার্টি করা যাবেনা কোন ক্লাবে কিংবা রেস্তোরাঁয়। এই ধরনের পার্টি বন্ধ করতে হবে রাত দশটার মধ্যে। আর এই সমস্ত পার্টিতে সর্বাধিক ক্ষমতার ৫০ শতাংশ মানুষ আসতে পারবে। সমস্ত সমুদ্র সৈকত, শপিং মল, পাবলিক পার্ক এর উপর চলবে কড়া নজরদারি।
কেরলে যেহেতু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেশ ভালোই, সেই কারণে কেরলে নিউ ইয়ার পার্টি অনেক জায়গাতেই দেখা যায়। এই সমস্ত পার্টিতে অতিরিক্ত জনসমাগম এর দরুন করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হয় অনেক সময়। এই কারণেই ৩১ ডিসেম্বর কেরল সরকারের তরফ থেকে নাইট কারফিউ জারির নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ এবং গুজরাতে নানা জায়গায় কারফিউ এবং বিধি নিষেধ কার্যকর রয়েছে। সারা দেশে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সুস্থ রাখার জন্যই নাইট কারফিউ এবং বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারগুলি।