স্বাধীনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না কেজরিওয়াল সরকার, কার্যকর হল ‘দিল্লি বিল’
কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতা খর্ব করল কেন্দ্র
মহামারী আবহেই কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতা খর্ব করল কেন্দ্র, কার্যকর হল ‘দিল্লি বিল’। কী এই দিল্লি বিল? এটি মূলত গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধনী) আইন ২০২১ বা এনসিটি আইন ২০২১ (National Capital Territory of Delhi Amendment Act)। আর এর ফলে কেজরিওয়াল সরকার স্বাধীনভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
মূলত কয়েকদিন যাবৎ দিল্লির অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকেও, তিনি বারংবার নিজের রাজ্যের অক্সিজেন ঘাটতির কথা তুলে ধরেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি পরিদর্শক), যেখানে কেজরিওয়ালকে বলতে শুনা যায়, অক্সিজেন সরবরাহের গাড়ি কেউ আটকে রাখছে ফলে দিল্লিতে অক্সিজেনের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর পরিনতিতে দিল্লির অবস্থাও ভয়াবহ আকার নেয়। বহু হাসপাতালেই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয় অনেকেরই। এর পরের দিনই দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, অক্সিজেন সরবরাহে কেউ বাধা দিলেই ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। আর এসবের মধ্যেই দিল্লির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কার্যত সব ক্ষমতা কেড়ে নিল কেন্দ্র।
বুধবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্বাধীনভাবে নিজেদের মতো কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। এমনকি মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলেও অনুমতি লাগবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের। অর্থাৎ দিল্লি সরকারের আর স্বাধীনভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকল না। সবটাই চলে গেল লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই অবস্থায় হঠাৎ ক্ষমতার এই ‘হস্তান্তর’ আসলে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দিল্লি সরকারকে আরও অসহায় করে দিল।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের প্রতিক্রিয়া ছিল,“গণতন্ত্রের দুঃখজনক দিন আজ। কিন্তু আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বাধা এলেও কাজ করে যাব।”