তিন দশকে প্রথমবার, কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ মিছিলে পথে নামলেন কাশ্মীরি জনতা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 09/03/2022   শেষ আপডেট: 09/03/2022 10:50 a.m.
https://twitter.com/Sumiara_Yousuf

রবিবার শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় দু'জনের, আহত হন ৩৩ জন

বিরল! কাশ্মীরে (Kashmir) সোমবার সন্ধ্যেবেলার ঘটনাটি এক কথায় প্রকাশ করতে হলে এই শব্দটিই যথাযোগ্য। রবিবার শ্রীনগরে (Srinagar) গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে সোমবার সন্ধ্যাবেলা পথে নামতে দেখা গেল বাচ্চা থেকে বুড়ো, সব বয়সী কাশ্মীরি জনতাদের। মোমবাতি হাতে নিয়ে কাশ্মীরিদের শান্তির জন্য মিছিল বিগত তিন দশকের ইতিহাসে এই প্রথম।

রবিবার শ্রীনগরের আমিরা কাড়াল হরি-সিং হাই স্ট্রীট বাজারে ঘটে এক ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। যার জেরে প্রাণ হারান দুই নাগরিক। আহত হন আরো ৩৩ জন। তারই প্রতিবাদে সোমবার এক শান্তি মিছিলের আয়োজন করেন কাশ্মীরিরা। প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে এই প্রতিবাদ মিছিল। সমাজের শ্রেণী নির্বিশেষে মানুষজন মোমবাতি হাতে মিছিলে জড়ো হন লাল চক এলাকায়। এরপর ঘন্টা ঘরে বসে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন তাঁরা। মিছিলে কাশ্মীরিদের মুখে শোনা যায় সন্ত্রাস বন্ধ করার একাধিক স্লোগান। তাদের হাতের প্লেকার্ডে লেখা ছিল, ‘আখার কব তক’, যার অর্থ, ‘আর কতদিন সহ্য করব’। তাদের ‘যুবসমাজ বাঁচাও, কাশ্মীর বাঁচাও’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিবাদস্থল।

উল্লেখ্য, রবিবার বিকালে শ্রীনগরের বাজারে গ্রেনেড হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। জনবহুল বাজারে তাদের ছোঁড়া হ্যান্ড গ্রেনেডে মৃত্যু হয় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের। গুরুতর আহত হন বছর কুড়ির মেয়ে রাফিয়া নাজির। পরে হাসপাতলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়াইয়ে হেরে যান তিনিও। এছাড়াও ৩৩ জন আহত হন এই বিস্ফোরণে, যার মধ্যে একজন পুলিশও ছিলেন। আর এই ঘৃণ্য হামলার প্রতিবাদেই সোমবার পথে নামে কাশ্মীরি সমাজ। তাঁদের মুখে ছিল, সন্ত্রাসকে দূরে সরিয়ে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার বার্তা।