গণনার অন্ত, নগদ ২৫৭ কোটির কালো টাকা উদ্ধার করার পর গ্রেফতার কানপুরের ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 27/12/2021   শেষ আপডেট: 27/12/2021 3:05 p.m.
https://twitter.com/PraveenraoU

৫০ ঘণ্টা জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ীকে

প্রায় তিনদিন ধরে কেবল গোনা হয়েছে সুগন্ধি ব্যবসায়ীর কালো টাকা (black money)। সবশেষে আয়কর দফতরের (Income Tax department) হিসাব অনুযায়ী, ২৫৭ কোটি টাকা বেআইনি ভাবে মজুত করে রেখেছিলেন কানপুরের (Kanpur) ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন। পাশাপাশি তাঁরা এও জানতে পারেন, দেশের নানান জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার স্থাবর সম্পত্তি। দুবাইতে (Dubai) রয়েছে দুটি বিলাসবহুল হোটেলও। ব্যবসায়ী সম্পর্কে এতো তথ্য আবিষ্কার করার পর সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন আদালতেও তোলা হয় অভিযুক্ত পীযূষ জৈনকে।

আয়কর দফতরের কথায়, তাদের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ব্যক্তির থেকে এতো বিপুল পরিমাণে ধনরাশি উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু নগদ অর্থই নয়, উদ্ধার হয়েছে ১৪ কিলো সোনা (gold) এবং ২৫০ কিলো রূপো (silver)। জানা গিয়েছে, দেশ-বিদেশে একাধিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক পীযূষ। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, কেবল কানপুর এবং কনৌজেই (Kannauj) ব্যবসায়ীর সাতটি অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। তাছাড়াও মুম্বাইতে (Mumbai) দুটি এবং দিল্লিতে (Delhi) একটি বাড়ির মালিক তিনি। দুবাইতে তাঁর রয়েছে দু’খানা বিলাসবহুল হোটেল।

সূত্রের খবর, পীযূষ জৈনের বাড়িতে ১২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর বিভাগের অধিকারিকেরা। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৫০ ঘণ্টা। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আয়করের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তল্লাশি এখনও শেষ হয়নি। এখনও পীযূষের কনৌজের বাড়িতে ১৮ টি আলমারি এবং ৫০০ টি চাবির একটি গোছা পেয়েছেন তল্লাশিকারী দল। সেই আলমারিগুলি খুলে আরও বিস্তারিত তল্লাশির চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগের তল্লাশিকারী দল। প্রথম দিন তল্লাশির পর ১৫০ কোটি টাকার নোট উদ্ধার করেন তাঁরা। টাকার স্তূপের উপর বসে নোট গোনার ছবি-ভিডিও সে সময় ব্যাপকহারে ভাইরাল হয়। বিপুল অর্থরাশি গোনার জন্য শেষমেশ টাকা গোনার মেশিন পর্যন্ত আনতে হয় তাদের। প্রায় তিনদিন ধরে চলে টাকা গোনার পর্ব। এরই মাঝে জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েও, মানুষ যাতে না টের পায় সেজন্য অত্যন্ত সাধারণভাবে চলাফেরা করতেন ওই ব্যবসায়ী।

এদিকে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণাঙ্গনে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সমাজবাদী পার্টির (SP) ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অন্যদিকে সপা’র মন্তব্য, যোগী জমানাতেই রাজ্যে বেড়েছে দুর্নীতি।