গণনাকেন্দ্রে পুলিশকর্মীর সঙ্গে ‘অভব্যতা’, যোগীরাজ্যে সাংবাদিককে লকআপে পুরে ‘উত্তম-মধ্যম’ পুলিশের
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএম সরানোর অভিযোগ তোলেন সাংবাদিক
পুলিশের সঙ্গে নাকি ‘অভব্য’ আচরন করেছেন জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক! যার জেরে সাংবাদিককে কেবলমাত্র আটক করাই নয়, লকআপে পুরে রীতিমতো ‘থার্ড ডিগ্রী’ অত্যাচার করল পুলিশ। ঘটনা যোগী আদিত্যনাথের ‘মডেল’ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। জানা গিয়েছে, ‘পাঞ্জাব কেশরী’ শীর্ষক হিন্দি দৈনিকের জনৈক সাংবাদিক গৌরব বনশলকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর উপর ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (Uttar Pradesh assembly election) ভোটগ্রহণ পর্ব মেটার পর গত ৮ মার্চ গণনাকেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম (EVM) সরানোর গুরুতর অভিযোগ তোলেন ঐ সাংবাদিক। অভিযোগ খারিজ করে বিগত ৯ মার্চ সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন গৌরব বনশল। সেইসাথে লোক জড়ো করে পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরন, তাঁদের গালিগালাজ করা, পুলিশকে শারীরিক নিগ্রহ করা-সহ পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগও তোলেন অভিযোগকারী আধিকারিক।
এরপরেই ইমতাদৌলা থানায় সাংবাদিক-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সাংবাদিককে লকআপে পুরে তাঁকে বেদম মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকের আইনজীবী। তাঁর দাবী, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই সর্বৈব মিথ্যা। উল্টে গত ১৫ মার্চ রাত্রিবেলায় সাংবাদিককে লকআপে ঢুকিয়ে ‘থার্ড ডিগ্রী’ অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকের আইনজীবী। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম যোগীরাজ্য।