তদন্তে ইডি, জাতীয় নিরাপত্তা জনিত কারণে পাসপোর্ট না পেয়ে কেন্দ্রকে তোপ মেহবুবা মুফতির

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 29/03/2021   শেষ আপডেট: 29/03/2021 5:35 p.m.
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি instagram.com/jkpdp1

৮২ লক্ষ টাকার আসবাব, ২৫ লক্ষ টাকার টিভি, ২৮ লক্ষ টাকার কার্পেট, ৪০ লক্ষ টাকার কাটলারি সরঞ্জাম ও ১২ লক্ষ দিয়ে বেডশীট কেনার জন্য বর্তমানে তদন্তের মুখে মুফতি

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি পাসপোর্টের জন্য স্থানীয় অফিসে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সিআইডির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি নাকি দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। আর এই কারণেই তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি। এরপরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জম্মু–কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। ট্যুইটেও এ কথা জানিয়ে মুফতি দাবি করেন, "নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাঁকে পাসপোর্ট দিতে অস্বীকার করেছে ভারতীয় সরকার। একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন?"

তিনি ট্যুইটে আরও বলেন, "সিআইডির রিপোর্টের ভিত্তিতে পাসপোর্ট দফতর আমার আবেদন খারিজ করেছে। যে রিপোর্টে আমাকে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকারক বলা হয়েছে। ২০১৯-এর অগস্ট থেকে কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার এটাই নমুনা। যেখানে একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পাসপোর্ট পেলে তা শক্তিশালী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপদ হয়ে উঠতে পারে।"

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তুলে নেওয়া হয় জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। এরপরই মেহবুবা মুফতি- সহ জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক নেতাকে আটকও করা হয়। গত বছর তিনি মুক্তি পেলেও, ফের গৃহবন্দি করা হয়েছিল মেহবুবাকে। এবং বর্তমানে মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। কারণ, গত বছরের শুরুতে বাড়ি সাজাতে আসবাব-সরঞ্জাম কিনতে ছ'মাসে ৮২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র সরকারের টাকায় মুফতি প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার কার্পেট কিনেছেন মাত্র একদিনেই! এমনকি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার টিভি, রেফ্রিজারেটর-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র কিনেছিলেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় নির্বাচনের আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে করা আরটিআইয়ের জবাবে এই তথ্য জানা যায়। যার পুরোটাই ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে খরচ করা হয়েছে।

আর এই কারণেই মুফতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। আর তাই মেহবুবা মুফতিকে পাসপোর্ট দিতে অস্বীকার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত বছরের ডিসেম্বরে করা পাসপোর্টের আবেদন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য গেলে সেটিতেও নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়।