কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও নিতে হবে বুস্টার টিকা!
কেন এমন বললেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন খুঁটিনাটি
করোনার ভিন্ন প্রজাতি ও তাদের চরিত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে যেমন নিরন্তর নানাবিধ গবেষণার ফলবশত উঠে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন মতামত, ঠিক একইভাবে ভ্যাকসিনের পর্যায়ক্রমিক ট্রায়াল চালিয়ে আবারো এক নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ ( আইসিএমআর) এর সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন এক তথ্য। দেখা গেছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও ৬৫র বেশী বয়সী এবং কোমর্বিড রোগীদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। এইরকম পরিস্থিতিতে তাদের নিতে হতে পারে বুস্টার টিকা।
আইসিএমআর এর এই সমীক্ষায় কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এদের মধ্যে ১৬.১% গ্রাহকের শরীরে ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে মোকাবিলা করার মত যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান টি জেকব এই প্রসঙ্গে জানান, অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি বলা ভুল, বলা ভালো এতটাই কম যে তা ধরা পড়েনি। তিনি আরো বলেন, হতেই পারে ওই ১৬.১ শতাংশ ব্যক্তি হয় ৬৫বছরের উর্ধ্বে, নয়তো মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ সংক্রান্ত কোমর্বিডিটি রয়েছে। তাই অ্যান্টিবডি তৈরি করতে তৃতীয় টিকা হিসেবে বুস্টার ডোজ নিতে হবে তাদের।
তবে এই বিষয়টি এখনো আরো গবেষণা সাপেক্ষ, এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ যথেষ্ট পরিমাণ (অন্তত যা ডেলটা প্রজাতির সাথে লড়াই করতে পারে) অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম, তাই এখনই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।