সংক্রমিত কি আসলে ৫০ লক্ষই ?
আইসিএমআর জানাচ্ছে সংখ্যাটা প্রায় ৮০ গুণের বেশি
করোনা পরীক্ষা হচ্ছে হাতে গোনা কটা জায়গায়। সেটাও মূলত শহর কেন্দ্রীক। এদিকে অনেকের উপসর্গ দেখা দিলেও রিপোর্ট পজিটিভ এলে তারপর কি হবে সেই ভয়ে পরীক্ষা করাচ্ছেন না তাঁরা। আর পরীক্ষা করাতে সরকার নির্ধারিত খরচ ২৪০০ সাথে পিপিই কিটের খরচ মিলিয়ে প্রায় ৩০০০। ফলে খরচের কারণেও পরীক্ষা করা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে নানান সমীক্ষায় উঠে আসছিল খাতায় কলমে সংক্রমিত সংখ্যা যা দেখা যাচ্ছে আদতে সেটা নয়। সংক্রমিত আসলে অন্তত ১০ গুন বেশি। সেই দাবিকেই মান্যতা দিলো আইসিএমআর। আইসিএমআর এর পক্ষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে প্রতি একটি কনফার্ম কেসের পাশে অন্তত ৮০-১৩০ টি কেস এমন থেকে যাচ্ছে যাদের পরীক্ষা করালে পজিটিভ আসবে।
ফলে আজ যখন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছুঁলো তখন আইসিএমআরের এই বিবৃতি খানিক চিন্তার উদ্রেক করছে। যদিও সেই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে কনফার্ম কেসের নিরিখে মৃত্যুহার ১.৬ শতাংশের কাছাকাছি। এখন সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী যদি আসলে কতজন আক্রান্ত সেটা হিসেব করা হয় তাহলে দেখা যাবে মৃত্যুহার ১ শতাংশের থেকেও অনেক নীচে। ফলে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন তাঁরা।
গত সপ্তাহে আইসিএমআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল গত মে জুন নাগাদ দেশে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৫০ লক্ষ। কিন্তু পর্যাপ্ত পরীক্ষা না হওয়ায় সেটা সামনে আসেনি। আইসিএমআরের এই বিবৃতির পর করোনা আক্রান্ত সুস্থ এই যাবতীয় সংখ্যা নিয়ে না ভেবে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা বিধি নিয়ে ভাবতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।