IIT স্নাতক, গোরক্ষনাথ মন্দির হামলাকারীর সঙ্গে যোগসূত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ISIS-এর, চাঞ্চল্যকর দাবি UP পুলিশের
২০১৪ সালে ISIS প্রচারকর্মী হিসাবে ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল অভিযুক্ত
গোরখপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীকে হামলাকারী সেই অভিযুক্তর কথা মনে আছে? চলতি মাসের ৩ তারিখে মন্দিরে হামলাকারী অভিযুক্ত আইআইটি স্নাতক সেই ব্যক্তির নাম ছিল আহমেদ মুর্তজা আব্বাসি। তার সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ISIS-এর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের এডিজি (ল অ্যান্ড অর্ডার) প্রশান্ত কুমার। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, উক্ত অভিযুক্ত আইসিস-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত। উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি-টেরোর স্কোয়াড অভিযুক্তর ই-ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ই-ওয়ালেটের ডেটা বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছে বিদেশ-ভিত্তিক আইসিস যোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন আব্বাসি। এমনকি তাদের মধ্যে ৮.৫ লাখ টাকা লেনদেন পর্যন্ত হয়েছে।
অফিসার প্রশান্ত কুমারের কথায়, "অভিযুক্ত ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ISIS সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। ২০১৪ সালে ISIS প্রচার কর্মী মেহেদি মাসরুর বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্য বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আব্বাসি। সে তখন থেকেই সন্ত্রাসবাদী, উগ্র প্রচারক এবং ISIS-সন্ত্রাসবাদ প্রবর্তকদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল।" ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে আব্বাসি ইউরোপ ও আমেরিকায় বিভিন্ন অস্ত্র পাঠাতেন বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
তাঁর সংযোজন, "অভিযুক্ত তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে, ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আইসিসের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্কিত সংগঠনগুলির মাধ্যমে আইসিসের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সহায়তা করার জন্য প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৮.৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিল। এমনকি AK47, M4 কার্বাইনের মতো আধুনিক ক্ষেপনাস্ত্রও পাঠিয়েছিল ইন্টারনেটের সহযোগিতায়।" তিনি আরও জানান যে আব্বাসি নিজের সন্ত্রাসী দাবি পূরণ করার উদ্দেশ্যে গোরক্ষনাথ মন্দিরের দক্ষিণ গেটে একা হামলা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পরে একটি বড়সড় মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া। উল্লেখ্য, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ঐ দিন ধর্মীয় স্লোগান তুলে মন্দিরে ঢুকে পড়েন আব্বাসি।