যুদ্ধের জেরে আশঙ্কায় ভারত-সহ বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার : নির্মলা সিথারামন
দেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য তিন স্তম্ভের কথা বলেন অর্থমন্ত্রী
একেই করোনা অতিমারি (COVID-19 pandemic) পরিস্থিতিতে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছিল ভারত-সহ সমগ্র দুনিয়ার অর্থনীতি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ (Ukraine-Russia conflict) এবং যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বড় শক্তিগুলির অংশগ্রহণে সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে, শুক্রবার এমনটাই জানালেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিথারামন (Nirmala Sitharaman)। তবে আশঙ্কার মাঝেও তাঁর আশা শীঘ্রই অশান্তির মেঘ কেটে গিয়ে শান্তি প্রতিস্থাপিত হবে।
শুক্রবার পুনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘এশিয়া ইকোনমিক ডায়লগ ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করে নির্মলা বলেন, “বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নয়া অশান্তির জেরে ভারতের বিকাশ বড়সড় প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে চলেছে। শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এতো বড় মাপের আশঙ্কার সম্মুখীন বিশ্ব হয়নি”।
অর্থমন্ত্রীর কথায়, কোনও দেশই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে না। বিশেষ করে যে সময়ে সমগ্র বিশ্ব একটা বড় ধাক্কা (করোনা মহামারী) এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘এই অশান্তির সময়ে যখন মান শৃঙ্খল এমনিতেই বিধ্বস্ত, তখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করাটা কেবলমাত্র ভারত নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির জন্যও যথেষ্ট চিন্তাজনক’।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমনের পর থেকেই বিশ্ব বাজারে দেখা দিয়েছে একাধিক সঙ্কট। একাধারে যেমন বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি আকাশছোঁয়া হয়েছে, অন্যদিকে মান পড়ে গিয়েছে মানবজীবনের। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে ব্যারেল প্রতি খনিজ তেলের দাম ১০০ ডলার ছুঁয়েছে। ভারতের শেয়ার বাজারেও ব্যাপক ধ্বস নামতে দেখা গিয়েছিল যুদ্ধের প্রথম দিনে। অর্থমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে সেইসব প্রসঙ্গই।
যদিও এর থেকে মুক্তির পথও বাতলেছেন অর্থমন্ত্রী। জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রযুক্তি একটি বড় ভুমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নির্ভর করে তিনটি স্তম্ভের উপর। যেগুলি হল – সবুজ শক্তিতে স্থানান্তকরন, ‘সফট’ এবং ‘হার্ড’ অবকাঠামো গঠন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করা এবং স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাব্যাবস্থার পুনর্গঠন। ‘এই তিনটি স্তম্ভকে নিশ্চিত করাই এখন একমাত্র কর্তব্য এবং তার জন্য চাই কেন্দ্র এবং রাজ্যের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব’, নিদান দেন তিনি।