তিন মাসেই মিলবে পাঁচ লাখ টাকা, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
ডিপোজিট ইনশিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন আইনের সংশোধনী এই নয়া নিয়মের আওতায় থাকবে সমস্ত ব্যাংক
ডিপোজিট ইনসিওরেন্স ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি) আইনে সংশোধনীতে অবশেষে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এদিন বড়ো ঘোষনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। অবশেষে পাশ হয়ে গেল DICGC Bill 2021, কাজেই খোলসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমানতকারীরা মাত্র তিন মাসের মধ্যেই বিমা বাবদ সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। অর্থাৎ আর্থিক সংকটের জেরে বাধ্য হয়ে যেসব ব্যাংক (Bank) বন্ধ হয়ে যায়, সেই ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বস্তি দিতেই এবার বড়ো পদক্ষেপ কেন্দ্রের। এই পদক্ষেপ গ্রহন করে অর্থমন্ত্রী যুক্তি দেন, এর ফলে ৯৮.৩ শতাংশ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, এদিন বুধবার বিকেলে বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। তাতে তাঁর সাফ বক্তব্য, ডিপোজিট ইনশিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) আইনের সংশোধনী এই নয়া নিয়মের আওতায় থাকবে সমস্ত ব্যাংক। এমনকী বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকের ভারতীয় শাখার আমানতকারীরা এই বিমার আওতায় পড়বেন। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, "সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে বিমার টাকা পেতে পেতে ৮ থেকে ১০ বছরও লেগে যায় অনেক সময়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হবে না। ব্যাংক উঠে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই টাকা পাওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। নিঃসন্দেহে এর ফলে আমানতকারীরা স্বস্তি পাবেন। এর আগে ব্যাংক বন্ধ হলে গ্রাহকরা ১ লক্ষ টাকা পেতেন বিমা বাবদ। নয়া আইনে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা মিলবে।"
প্রসঙ্গত, পিএমসি ব্যাঙ্ক প্রতারণা কাণ্ডের পর ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছিলেন না আমজনতা। পরে অবশ্য গত বছর থেকে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বেড়ে পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বেড়েছে। এবার মূলত সেই বিমার অর্থ দেবে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা ডিপোডিট ইন্সিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি)।