আজ থেকে ভোটার কার্ড হচ্ছে ডিজিটাল, দেখুন কিভাবে করবেন বাড়ি বসে ডাউনলোড
যাদের ভোটার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর কানেক্টেড শুধুমাত্র তারাই ডাউনলোড করতে পারবেন ডিজিটাল ভোটার কার্ড।
ডিজিটালাইজড হতে চলেছে এবার থেকে ভোটার কার্ড। এবার আপনারা বাড়িতে বসে শুধুমাত্র নিজের ফোন নম্বর ব্যবহার করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন আপনার ভোটার কার্ড এর একটি ইলেকট্রনিক্স কপি। সবথেকে ভালো ব্যাপারটি হলো, এর জন্য আপনাকে কোন রকম নথি পেশ করতে হবে না অথবা সশরীরে গিয়ে কোন কাজ করতে হবে না। এছাড়াও যদি আপনার ভোটার কার্ড কখনো হারিয়ে যায় তাহলে খুব সহজে আপনি এই পদ্ধতিতে নিজের ভোটার কার্ড আবারো পেয়ে যেতে চলেছেন। ভারতের ভোটারদের সমস্ত সমস্যা দূরীকরণে এই নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার পালিত হতে চলেছে জাতীয় ভোটার দিবস। আর এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন চালু করে দিল E-EPIC কার্ড পরিষেবা। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভোটার কার্ডের একটি অনলাইন সংস্করণ। এটা আগের ভোটার কার্ডের মত করে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এই কার্ড ডাউনলোড করে নিয়ে আপনারা খুব সহজে আপনার ভোট দিতে পারবেন। পাশাপাশি, যেখানে ভোটার কার্ড গ্রহণযোগ্য হয় সেই সব জায়গায় এই অনলাইন ভোটার কার্ড আপনারা নিয়ে যেতে পারবেন। এই ডিজিটাল ভোটার কার্ডে দুটি কিউআর কোড ব্যবহার করা হবে। একটিতে থাকতে চলেছে ভোটারের নাম এবং অন্যান্য তথ্য। অন্যটিতে থাকবে ভোটার সংখ্যা, পার্ট নম্বর এবং বুথ নম্বর। তবে, এবারে কি আর পুরনো ভোটার কার্ড ব্যবহার করা যাবে না? এই নিয়ে অনেকের মনেই উঠছে প্রশ্ন। কমিশন জানিয়েছে, এরকম কোন সমস্যা হবে না। আপনারা স্বাচ্ছন্দ্যে পুরনো ভোটার কার্ড ব্যবহার করতে পারেন নতুন ডিজিটাল ভোটার কার্ডের সঙ্গে।
এই ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনারা পাবেন দুটি পর্যায়। প্রথম পর্যায়তে ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন ভোটাররা ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। যারা নির্বাচন কমিশনের ৬ নম্বর ফরম পূরণ করে কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই পরিষেবা কাজ করবে। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনারা নিজেদের ভার্চুয়াল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করে ফেলতে পারেন। জানিয়ে রাখি, বাংলার প্রায় ২১ লক্ষ্য মানুষ প্রথম পর্যায়তে কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি থাকবে আরও একটি পর্যায়। এতে ভারতের পুরনো ভোটারদের জন্য কার্ড ডাউনলোড করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। যদিও যাদের ভোটার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর কানেক্টেড শুধুমাত্র তারাই ডাউনলোড করতে পারবেন ডিজিটাল ভোটার কার্ড।