দেশে একদিনেই করোনায় মৃত ৮০৫, ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহার দেখে চিন্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
কালীপুজো, দিওয়ালি এবং ভাইফোঁটার আগে এরকমভাবে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক
দৈনিক সংক্রমণের হার কমলেও মৃত্যুর হার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের জন্য। দেশের দৈনিক পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে, এবারে এই মারণ ভাইরাসটির মারণ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীরে ধীরে। দৈনিক সংক্রমণ যেখানে ১৫ হাজারের কম, সেখানে মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৮০০ এর গণ্ডি। দিওয়ালির আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের চিন্তা বাড়াচ্ছে এই নতুন পরিসংখ্যান। কালীপুজো, দিওয়ালি এবং ভাইফোঁটার আগে এভাবে অ্যাক্টিভ কেস বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য চিন্তায় রয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। অন্যদিকে, এই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধের মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুজোর পর থেকে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসের কেস সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীরে ধীরে। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কনটেইনমেন্ট জোন খোলা হচ্ছে। কিন্তু তবুও, এভাবে করোনাভাইরাস এর কেস বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় রয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তর।
শুক্রবার স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি তথ্য সামনে আনা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮০৫ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি এবং গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, কেরল সরকার করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান সামনে আনার পরেই এরকম ভাবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, গতকাল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৩৪৮ জন, যা আগের থেকে অনেকটা কম। এই দিক থেকে পরিসংখ্যান ভালো হলেও, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
শুধু তাই নয়, বিগত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমনের সংখ্যা কম হলেও অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসের জন্য চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৩৪ জন। তবে, বর্তমানে ভারতে ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩২ জন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর গত ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৮ জন।