করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুহার আরো বেশি! জানুন আর কি কি বলছেন আইসিএমআর-এর অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা
বিগত কয়েক দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ভারতে
করোনা ভাইরাসের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে মৃত্যুহারে কোনরকম তফাৎ নেই, জানিয়ে দিলেন ভারতের ন্যাশনাল কোভিড ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজির বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ চিকিৎসক। তার সাথে তারা এও জানিয়ে দিয়েছেন, যে সমস্ত ব্যক্তির বয়স ৬০ এর বেশি তাদের কিন্তু এই দ্বিতীয় ওয়েভের মধ্যেও মৃত্যুহার অনেকটা বেশি থাকছে। তবে, ২০ বছরের কমের শিশু এবং কিশোররা করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভে অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। গত বছর মোট আক্রান্তের মধ্যে ২০ বছরের কম বয়সী ছিলেন ৪.২ শতাংশ। কিন্তু এবারে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশে। অন্যদিকে, ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ছিলেন মোটামুটি ২৫.৫ শতাংশ। সেখানে এবারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩.৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা ভাইরাসের গ্রাসে ৪৭ শতাংশ এমন মানুষ এসেছেন যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ছিল ৪১ শতাংশ মানুষের। তাড়াতাড়ি শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, শুকনো কাশি, কাঁপুনি দেওয়া, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া এই জাতীয় সমস্ত লক্ষণ এবারেও রয়েছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্ত লক্ষণ কিন্তু অনেকটা বেশি প্রবল। আর এই বারে এই ভাইরাসের ফলে মৃত্যু হার কিছুটা বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের টিম জানাচ্ছেন, কোন ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, যেমন- রেমেডিভিসির, ফ্যাপিরাবির, জাতীয় ওষুধ এখানে কোন কাজ করছে না। পাশাপাশি অন্য ধরনের ওষুধ যেমন স্টেরয়েড ব্যবহার করলে, শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া আক্রান্তদের শরীরে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরনের ওষুধ সাবধানে ব্যবহার করতে হচ্ছে।