পুনর্জন্ম নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, আসছে ঘূর্ণিঝড় শাহিন, সতর্কবার্তা দিল আইএমডি
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ এই নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর
এতদিন পর্যন্ত ভারতের মানুষ মনে করছিলেন সাইক্লোন গুলাব একেবারেই শক্তি হারিয়ে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং উড়িষ্যায় এই ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী নিম্নচাপের কারণে বেশ ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কিন্তু কাহিনী এখানেই শেষ নয়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় গুলাবের পরবর্তী ডেস্টিনেশন এবারে আরব সাগর। সেখান থেকেই সাইক্লোন গুলাবের পরবর্তী অংশটি জন্ম নিতে চলেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী এবারে সাইক্লোন গুলাব পুনর্জন্ম নিতে চলেছে সাইক্লোন শাহিন নাম নিয়ে। আরব সাগরের তীরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি। আইএমডি-র তরফে সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, গুলাব ঘূর্ণিঝড়ের নতুন অংশটির প্রভাবে ভারতের পশ্চিম উপকূলে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত আগামী শুক্রবার এই নতুন ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্ব আরব সাগর এবং গুজরাট উপকূলে আবারো একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বলেই জানাচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
আইএমডি কর্তারা জানাচ্ছেন, শুক্রবার নাগাদ এই সমস্ত সিস্টেমটি নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। তার ফলেই সম্ভাবনা রয়েছে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় শাহিন তৈরি হতে পারে। উত্তর-পূর্ব আরব সাগর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় এই ঝড় প্রবল প্রভাব ফেলবে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, গুলাব ঘূর্ণিঝড়ের লেজ থেকে তৈরি হয়ে এই নতুন ঘূর্ণিঝড় শাহিন নিজের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করবে। তবে এরকম ঘটনা কিন্তু খুব একটা দেখা যায়না। ভারতের ইতিহাসে এরকম ঘটনা কিছুটা বিরল বলা চলে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সাইক্লোন গুলাব আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিজের প্রভাব দেখাবে। ঠিক তার পরেই তার থেকে জন্ম নেওয়া সাইক্লোন শাহিন আরব সাগরের রাজ্যগুলির থেকে এগিয়ে আসবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পয়লা অক্টোবর পর্যন্ত আরব সাগরের তীরে বিভিন্ন রাজ্যে প্রভাব দেখাতে পারে এই শাহিন ঘূর্ণিঝড়। সম্ভাবনা আছে, আরব সাগরের তীরে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি নিয়ে এগিয়ে আসতে চলেছে সাইক্লোন শাহিন। এই সাইক্লোনের প্রভাবে মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরালা এবং মধ্যপ্রদেশে প্রবল পরিমাণে বর্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি গুজরাট এবং পাকিস্তান এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর।