করোনা থেকে বাঁচতে "করোনা মাতার" মন্দির প্রতিষ্ঠা উত্তরপ্রদেশে, মাস্ক পরছে মূর্তিও
উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার শুক্লাপুর গ্রামে গ্রামবাসীরা "করোনা মাতার" মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন
করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে ধরাশায়ী গোটা দেশ। কিছুদিন আগে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং রাজ্যে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল দেখা যাচ্ছিল। সম্প্রতি বেশিরভাগ রাজ্যে লকডাউন এবং কড়া বিধি নিষেধ পালন করার জন্য সংক্রমণ হার কিছুটা কমলেও এখনও মারণ ভাইরাস করোনা নিপাত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলা করার জন্য উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রতাপগড় জেলার শুক্লাপুর গ্রামে গ্রামবাসীরা একটি "করোনা মাতার" মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। সকল গ্রামবাসীরা নিজেদের এবং আশেপাশের গ্রাম থেকে চাঁদা নিয়ে এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন। তাঁদের বিশ্বাস যে এই করোনা মাতার মন্দির শুক্লাপুর গ্রাম ও আশেপাশের গ্রামগুলিকে করোনা সংক্রমনের করাল ছায়া থেকে রক্ষা করবে।
অবশ্য মন্দিরে করোনা থেকে বাঁচার জন্য সরকার যেসব গাইডলাইন দিয়েছে তা সমস্ত পালন করা হচ্ছে। এই মন্দিরে মাস্ক পরতে হবে ও সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মন্দিরের মূর্তি হাত দিয়ে স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। এছাড়া যেই করোনা মাতার মূর্তি বসানো হয়েছে তাতে মাস্ক পরিয়ে রাখা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। তাই করোনা মাতা আমাদের রক্ষা করবে এই বিশ্বাসে নিম গাছের তলায় এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের পুরোহিত রাধেশ্যাম জানিয়েছেন, "দেশে প্রথম এরকম হচ্ছে এমন নয়। এর আগেও স্মলপক্স মহামারীর সময় চিচক মাতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। করোনা মাতা দেশের সমস্ত সমস্যা নিবারণ করবেন।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতের বিভিন্ন গ্রামে প্লেগ বা স্মল পক্স রোগের সময় মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।