ভোটে পরাজয়ের জের, সিধু-সহ ৫ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের সরানোর সিদ্ধান্ত সোনিয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 15/03/2022   শেষ আপডেট: 15/03/2022 10:16 p.m.
-

আজ বৈঠকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের শোচনীয় পরাজয়ের পর এবারে বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো কংগ্রেস উচ্চস্তরীয় কমিটি। ওই পাঁচ রাজ্য অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মনিপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তাদেরকে ইতিমধ্যে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জল্পনা ছিল, এই বৈঠকের পর কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। যদিও সেটা হয়নি। বরং সভাপতি পদে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা এই সিদ্ধান্তকে কতটা মেনে নেবেন সেই নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই মঙ্গলবার কংগ্রেসের পাঁচটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান গ্রহণ করলেন সোনিয়া গান্ধী।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি রাজ্যেই হারের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। ৫ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, খারাপ ফল এর কারণে ঐ সমস্ত রাজ্যের দলীয় সংগঠনে বড় রদবদল হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পাঁচ রাজ্যের সভাপতিদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হলেন পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধু। এছাড়াও রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের অজয় কুমার লাল্লু, উত্তরাখণ্ডের গণেশ গোদিয়াল, গোয়ার গিরিশ চরণকর, এবং মনিপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এন লোকেন সিংহ। এরমধ্যে মঙ্গলবার সকালেই ভোটে পরাজয়ের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অন্যদিকে পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সিধুকে নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।

গত বছর জুলাই মাসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তিক্ততা বাড়তে শুরু করে নভজোৎ সিং সিধুর। পরবর্তীকালে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চরণজিত সিং চন্নির সঙ্গেও তার সমস্যা হয়। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, এই অন্তর দ্বন্দ্বের কারণেই পাঞ্জাবে বিপুল হারের সম্মুখীন হয়েছে কংগ্রেস। গতবারের সরকার গড়া দল এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সর্বসাকুল্যে ১৮টি সিট দখল করতে পেরেছে। এই কারণেই পাঞ্জাব থেকে নভজোত সিংহ সিধুকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গান্ধী পরিবারের থাকা নিয়ে মঙ্গলবার আগুনে ঘি ঢাললেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল। তিনি বললেন, তিনি সবার কংগ্রেস চান। একই সাথে জি-২৩ গোষ্ঠীভুক্ত বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের আগামীকাল নৈশভোজে ডেকেছেন সিব্বল। সেখান থেকেও কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।