আর্থিক সংকটমোচনের উদ্দেশ্যে ফের বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, সোমবার থেকে চালু হতে চলেছে এন এম পি
বেসরকারি বিনিয়োগ টেনে পরিকাঠামোর উন্নতি এবং জনগনের জন্য বিকল্প আয়ের রাস্তা তৈরি করাই এই প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্যে
আর্থিক সংকটে জর্জরিত কেন্দ্র সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েক বছর ধরেই বেসরকারিকরণে জোর দিয়েছেন তাঁরা। তার মাঝেই আবার এক বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের। তাঁদের তরফ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, সবকিছু অনুকুল থাকলে আগামীকাল থেকেই চালু হতে চলেছে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন বা এন এম পি। জানা গিয়েছে, সরকারী সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ টানাই এই প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য। যদিও এই প্রকল্পের আগমন হটাৎ করে নয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন এরম একটি প্রকল্পের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সামনে সরকারী সম্পত্তির একটি তালিকা তুলে ধরা হবে। শুধু তাই নয়, তাঁদের বিনিয়োগ টেনে কিভাবে তহবিল গঠন করা যায়, তারও একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগ টেনে পরিকাঠামোর উন্নতি এবং জনগনের জন্য বিকল্প আয়ের রাস্তা তৈরি করাই এই প্রকল্পের মুল উদ্দ্যেশ্য। তাই, এখন থেকেই পাওয়ার গ্রিড পাইপলাইন অথবা জাতীয় সড়কের মতো বিষয়গুলিতে বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা গ্রহন করেছে কেন্দ্র। শুধু পরিকল্পনাই নয়, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, পুরোদমে কাজও শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
এ বিষয়ে ডিআইপিএএম-এর সচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে বলেন, সরকারী সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে ছ’লক্ষ কোটি টাকা আয় করাই এখন সরকারের পরিকল্পনা। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে চার বছর।
কেন্দ্রের দাবী, ইতিমধ্যেই রেল এবং বিমান পরিষেবায় বেসরকারিকরণ সংযুক্ত করার সুফল পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। ভবিষ্যতেও এই পথ ধরেই আরও আয়ের কথা ভাবছেন তাঁরা। এবছরের বাজেট বক্তৃতার শুরুতেই সিতারামন বলেছিলেন, নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য চাই বিনিয়োগ। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, বিনিয়োগকারীরা যাতে এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি একটি জাতীয় মনিটাইজেশন পাইপলাইন গড়ে তোলা। আর এবার সেই বক্তব্যকেই বাস্তবে রুপায়নের পথে কেন্দ্র।