অডিট করতেই বিহারে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লো দ্বিগুণ, চাপে 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার
পাটনা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে করা হয়েছিল মৃত্যুসংখ্যার অডিট
কোর্টের নির্দেশ মেনে অডিট করতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল। এতদিন পর্যন্ত নদীতে লাশ পাওয়া গেছে, কিন্তু সেই সমস্ত মৃত্যুর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এই লাশগুলি এলো কোথা থেকে, কেউ জানতে পারেনি। কিন্তু পাটনা হাইকোর্টের নির্দেশে অডিট করতেই দেখা গেল মৃতদেহ নিয়ে হয়ে গেছে একটা বিরাট রাজনীতি। সরকারি পরিসংখ্যানে যেখানে এই সমস্ত লাসের কোন হদিস ছিল না, হঠাৎ করেই বেরিয়ে পড়ল এই সমস্ত লাশের বৃত্তান্ত। এক মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৪০০০ বেড়ে গেল করোনাভাইরাস এর মৃত্যুর সংখ্যা। বিষয়টি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়ল বিহারের ডবল ইঞ্জিন সরকার। এক ধাক্কায় বিহারের মোট মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭২ শতাংশ। আর এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই গত একদিনে এই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ১৪৮। এখনো পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী বিহারে এটা সবথেকে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা। শুধু তাই নয়, বুধবার নিতিশ কুমার সরকার জানিয়েছে করোনা মহামারীর জন্য ঘটা মৃত্যু আগে ছিল ৫ হাজার ৪২৪। কিন্তু সংশোধনের পর এই সংখ্যাটা গিয়ে বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৭৫। হঠাৎ এক ধাক্কায় প্রায় ৪,০০০ বাড়লো মৃত্যু সংখ্যা।
বারংবার বিরোধীরা এই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন, করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজ্য সরকার মৃত্যুসংখ্যা গোপন করেছে। সেই মামলায় সায় দিয়ে পাটনা হাইকোর্টের নির্দেশে করা হলো এই মৃত্যুর সমস্ত অডিট। আর এই অডিটের রিপোর্ট সামনে আশা মাত্রই কেচো খুড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। যার ফলে বিতরকের মুখে পড়েছে বিহারের জেডিইউ এবং বিজেপি জোট সরকার। অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত বিহারে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১,৬০০। কিন্তু ২০২১ এর এপ্রিল থেকে ৭ জুন পর্যন্ত মৃত্যু হয়ে গেছে ৭ হাজার ৭৭৫ জনের। এই কয়েকদিনের মধ্যে এত গুণ কি করে বৃদ্ধি পেল মৃত্যুর সংখ্যা? প্রশ্নের উত্তর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি নিতিশ কুমার সরকারের থেকে। অন্যদিকে এই সমস্ত মৃত্যু কবে ঘটেছে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।