কাশ্মীরি পণ্ডিতের খুনে থামছে না মৃত্যু মিছিল, আরো বড় হামলার আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকারের
স্বাধীনতা দিবসের পর থেকেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপত্যকা
স্বাধীনতা দিবসের সময়কালেও রক্তঝরা থামছে না উপত্যকায়। ফের একবার জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। একের পরে গ্রেনেড হামলায় গত ১৫ আগস্ট থেকেই বিপদের সম্মুখীন কাশ্মীরি পন্ডিত কমিউনিটি। ইতিমধ্যেই এক কাশ্মীরি পন্ডিতকে হত্যার ঘটনা নিয়ে থমথমে হয়ে উঠেছে উপত্যকা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জম্মু এবং কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং তিরঙ্গা মিছিল হওয়া নিয়ে চটেছে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলি। সংখ্যালঘু এবং পরিযায়ীদের নিশানা বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে পথে নেমেছে তারা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র খবর, মঙ্গলবার কাশ্মীরের সপিয়ানে একটি আপেল বাগানে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় গুলি করে হত্যা করা হয় একজন কাশ্মীরি পন্ডিতকে। গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাইও। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আল বাদর নামে একটি সঙ্গী সংগঠনের ২ সদস্য এই হামলাটি চালায়। একজন শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই এই মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ মিলেছে। ওই কাশ্মীরি পন্ডিতদের উপর কারা হামলা চালিয়েছিলেন, তাদেরকে খুঁজতে বিশাল তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অন্যদিকে নিহত সুশীল কুমারের পরিবার বিগত কয়েক দশক ধরেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। ৯০-এর দশকে কাশ্মীরি পন্ডিতের উপর হামলার সময়ও তারা উপত্যকা ছেড়ে যেতে পারেননি। সম্প্রতি কাশ্মীরি পন্ডিতের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটতেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে উপত্যকায় বসবাসকারী কাশ্মীরি পন্ডিতদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। সুনীল কুমারের বাড়ির বাইরেও মোতায়েন ছিল পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার দুই ভাই আপেল বাগানে কাজ করতে গেলে তাদের উপরে অকথ্য হামলা চালায় জঙ্গিরা। লাগাতার ফায়ারিং এ ইতিমধ্যে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় সুশীল কুমারের শরীর। হামলার পর কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস নামের একটি জঙ্গি সংগঠন দায়ী স্বীকার করে নেয়। হামলা এবং হত্যার কারণ হিসেবে তাদের তরফে জানানো হয়, ওই দুই কাশ্মীরি পন্ডিত ভাই সাধারণ মানুষকে তিরঙ্গা মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল।