আসাম-মিজো সীমান্ত সংঘর্ষ, নিহত ছয় পুলিশকর্মী
এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি টুইট যুদ্ধে নেমে পড়েন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা
দুদিন আগেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু আজ হটাতই উত্তেজনা ছড়াল উত্তর-পূর্বের দুই পড়শি রাজ্য, আসাম ও মিজোরাম-এর মধ্যে। যদিও দুই রাজ্যের মধ্যে সীমানা নিয়ে বহুদিন ধরেই গোলযোগ লেগেই আছে, তবে এরম ঘটনা ইদানিংকালে প্রথম। দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিও চলে। যার দরুন প্রান হারিয়েছেন আসামের ছয়জন পুলিশকর্মী। আহত অন্ততপক্ষে ৫০ জন। আহতদের শিলচর মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় কাল রাত ১১ঃ৩০ নাগাদ, যখন আসাম-মিজো সিমান্তে থাকা কৃষকদের আটটি কুঁড়েঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দুই রাজ্যের মধ্যে। সিমান্তে গোলাগুলি চলে। সরকারী গাড়ি লক্ষ করে হামলা পর্যন্ত করা হয় বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই নিয়ে জল গড়ায় উপরমহল পর্যন্ত। টুইটার-যুদ্ধ পর্যন্ত ঘোষণা করে দেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জওয়ানদের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই টুইটারে প্রথম মুখ খোলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী, হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি লেখেন, “আমি অত্যন্ত মর্মাহত যে, অসম পুলিশের ছয় বীর জওয়ান অসম-মিজোরাম সীমানায় সাংবিধানিক সীমানা রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই”। এর পরেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা পাল্টা টুইট করেন, “@himantabiswa আলোচনামাফিক অসম পুলিশকে ভৈরঙ্গত থেকে পিছিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিন”।
এই টুইট যুদ্ধ কেবল মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। দুই রাজ্যের একে অপরকে দোষারোপ করতে পিছপা হননি। আসামের সরকারী কর্মীরা দাবী করেন, মিজোরাম থেকে একটা বড় সংখ্যায় জনগন আসামের ছয় কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে আসেন এবং ১৬ জন কে আহত করেন। অপরদিকে মিজোরাম থেকে দাবী করা হয় অসমিয়া-রা কাহারে মিজোরামের এক দম্পতির গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে এবং ভাঙচুর চালায়। এরম কিছু ভিডিও-কে প্রকাশ্যে এনে জোরামথাঙ্গা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে ট্যাগ করেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করেন।
প্রসঙ্গত, আসামের সাথে ১৬৪.৬ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে মিজোরাম। শুধু মিজোরাম নয়, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং অরুনাচল প্রদেশের সাথেও সীমান্ত নিয়ে সম্পর্ক ভাল নয় আসামের।