স্কুল টিফিনে গোমাংস এনেছিলেন, এই অভিযোগে হাজতবাস অসমের এক শিক্ষিকার
স্কুল টিফিনে গোমাংস এনেছিলেন, সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছিলেন, পরিণামে হাজতবাস
স্কুলে টিফিনে এনেছিলেন গোমাংস। খাওয়ার সময় সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছিলেন। স্রেফ এই অপরাধেই হাজতবাস এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার। অপরাধ, স্কুলে গোমাংস এনে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করেছেন।
ঘটনাটি অসমের (Assam) একটি সরকারি স্কুলের। অসমের গোয়ালপাড়া জেলার একটি মিডিল ইংলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছে স্কুল পরিচালন সমিতি। আর তার প্রেক্ষিতেই তাঁকে চলতি সপ্তাহের সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫৬ বছর বয়সী এই শিক্ষিকা এই স্কুলে দীর্ঘদিন চাকরি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ এবং ২৯৫ এ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহের শনিবার। এদিন তিনি স্কুল টিফিনে গোমাংস এনেছিলেন। তা খাওয়ার সময় ইচ্ছুক সহকর্মীদের সঙ্গেও তিনি তা ভাগ করে নেন। এরপরেই অভিযোগ ওঠে প্রকাশ্যে গোমাংস ভক্ষণের ফলে কিছু কর্মীর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে। তাঁরাই নাকি আপত্তি জানান। গোটা বিষয়টি যায় স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে। এরপর স্কুল পরিচালন সমিতির অভিযোগের ভিত্তিতে এই বর্ষীয়ান প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
অসমে গোমাংস নিষিদ্ধ নয়। তবে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা গোমাংস খাওয়ার বিপক্ষে অভিমত প্রয়োগ করেছেন। হঠাৎ-ই এই অভ্যাস ত্যাগ সম্ভব নয়, তবে ধীরে ধীরে চাইলে মানুষ তা ত্যাগ করতে পারে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দেশের কোথাও খাদ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে অসমের এই শিক্ষিকার আচরণে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন একাংশ।