ভারত সরকারের কৃষি আইনকে সমর্থন করল আমেরিকা
বিতর্কসভা আয়োজন করে জনমত আদায় করতে চান বরিস জনসন
কেন্দ্রীয় সরকারের আনা তিন কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা। এখনও আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বুকে আন্দোলন জারি রেখেছে কৃষিজীবীরা। দেশ তথা সারা বিশ্ব থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে আন্দোলনের সপক্ষে বা বিপক্ষে। এবার কৃষি আইনকে সমর্থন করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল আমেরিকা।
আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এক উন্নতমানের গণতান্ত্রের পরিচায়ক। তিনি আরও জানান এই কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থে এবং আখেরে উপকৃত হবে দেশীয় বাজারগুলি। একইসঙ্গে প্রশস্ত হবে বিদেশি বিনিয়োগের পথও। অর্থাৎ তাদের বক্তব্য এতে নিঃসন্দেহে কৃষকরা লাভবান হবেন। যদিও বাইডেনদের বক্তব্যের সাথে একেবারেই একমত নয় সেদেশের কংগ্রেস। হ্যালি স্টিভেন্স উদ্বিগ্ন মেজাজে জানান এটি আলোচনার মাধ্যমে সরকারের সমাধান করা উচিত। ইলহান ওমরও একযোগে জানান, ইন্টারনেট বন্ধ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার বিপন্ন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ট্যুইটারে পপ গায়িকা রিহানার পর আন্দোলন সমর্থনে মন্তব্য করেন সমাজকর্মী গ্রটা থুনবার্গ, প্রক্তন পর্ণ-তারকা মিয়া খলিফারাও। পাল্টা ভারত সরকারের সমর্থনে টুইট করেছেন অভিনয় ও ক্রীড়াজগতের অনেকেই।
অন্যদিকে ব্রিটেন সরাসরি ভারত সরকার বা কৃষকপক্ষ না নিয়ে এক বিতর্কসভার আয়োজন করতে চলেছেন পার্লামেন্টে। জনমতের ওপর ভিত্তি করেই বরিস জনসনদের অবস্থান নির্ণীত হবে।