প্রচার হয়েছে জোরকদমে! মোদীর 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পের ৮০ শতাংশ খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 11/12/2021   শেষ আপডেট: 11/12/2021 6:30 a.m.
-

দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে "বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও" প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন

দেশ এবং সমাজের উন্নতির পথ প্রশস্ত হচ্ছে দিনে দিনে। একের পর এক নতুন প্রযুক্তি উন্নত করে তুলছে দেশকে। ভারত বর্তমানে বিশ্বমাঝে সমাদৃত হয় এক উজ্জ্বল দেশরূপে। তবে এই দেশে এখনও অব্দি সমাজের বিভিন্ন স্তরে হেনস্থার শিকার হতে হয় মহিলাদের। কন্যাভ্রুণ হত্যা থেকে শুরু করে ঘরে কন্যা জন্মগ্রহণ করলে মায়ের ওপর অকথ্য অত্যাচার নতুন কিছু নয়। তবে সমাজের এই পাশবিক রূপ রোধে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে "বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও" প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। তারপর থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে কন্যাদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা যে অনেকটাই কমেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সম্প্রতি "বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও" প্রকল্প নিয়ে এমনই একটি তথ্য সামনে এসেছে যা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন।

লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, কন্যাভ্রূণ হত্যা রোধে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে "বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও" প্রকল্প শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে এই প্রকল্পে কাজের তুলনায় প্রচার করা হয়েছে অনেক বেশি। এমনটা অবশ্য কোনো বিরোধী দল দাবি করেননি। করেছে খোদ নারীকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, "২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্পের পিছনে কেন্দ্র সরকার মোট ৪৪৬ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা আর্থিক বরাদ্দ করেছে। তার মধ্যে ৭৮.৯১ শতাংশই ব্যয় হয়েছে বিজ্ঞাপন খাতে।" তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে এত টাকা যদি বিজ্ঞাপন খাতে খরচ হয় তাহলে কি করে প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে?

আসলে কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকেই জোরকদমে চলছে প্রচারের কাজ। দেশীয় থেকে আন্তর্জাতিক সমস্ত নামজাদা গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের উল্লেখ অনেকবারই করা হয়েছে। সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন ভাষায় এই প্রকল্পের প্রচার হয়েছে। তাই তো এখন হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নের তুলনায় বিজ্ঞাপনেই খরচ অনেক বেশি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই রিপোর্ট সম্বন্ধে এখনও পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি কেন্দ্র সরকার।