রায়পুর, ভোপালের পর এবার মৃতদেহ সৎকার নিয়ে উদ্বেগ দিল্লিতে
জায়গা নেই কবরস্থানে, শ্মশানে ছয় ঘন্টা লাইন দিয়েও মিলছে না সঠিক সৎকার!
রায়পুরের পর এবার খোদ দিল্লিতে মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। হুহু করে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ভোটের আবহে বাড়ছে আরও সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুও। এই মৃত্যু বৃদ্ধির জেরে শ্মশান, কবরস্থানে দেহ সৎকারের জন্য পড়ছে দীর্ঘ লাইন। তবে দীর্ঘ লাইন দিয়েও সুষ্ঠু ভাবে হচ্ছে না সৎকার। অভিযোগ, একাধিক পরিবারের। সূত্রে খবর, দিল্লির সবথেকে বড় শ্মশান নিগম্বোধ ঘাট। যেখানে কর্মরত মানুষরা হিমশিম খাচ্ছে দীর্ঘ লাইন দেখে। এদিকে মৃতদের পরিবারের দাবি, "সকাল সাড়ে ৮টায় এখানে এসেছি। ছ’ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। এখনও আমাদের সুযোগ আসেনি। পরিস্থিতি খুব খারাপ। কিছুক্ষণ অন্তরই দেখছি অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ আসছে।"
ঠিক একই ছবি দিল্লির সমস্ত কবরস্থানে। শ্মশানের চেয়েও আরও উদ্বেগ কবরস্থান গুলিতে। কারণ, কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, দু-একদিনের মধ্যেই কবর দেওয়ার জায়গা শেষ হয়ে যাবে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আগে দিনে ১-২টো করে দেহ আসত। এখন দিনে ১৭-১৮টা করে দেহ আসছে। শেষ ৫ দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখানে আর ৯০ জনকে কবর দেওয়ার মতো জায়গা পড়ে রয়েছে।"
উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লিতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬৮ জন। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে যা এখনও অবধি রাজধানীতে সর্বোচ্চ। বুধবার সেখানে মৃত্যুও হয়েছে ৮০ জনের। বুধবারের পরিসংখ্যান অ্নুসারে দেশে কোভিডে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৭ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজারেরও বেশি। এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতেরর বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৫ হাজার ৮৯২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।