প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর পর রাহুল গান্ধীকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন
এখনও জারি ১৪৪ ধারা, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের অভিযোগ
চার কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকা পিষে দেওয়ার। এরপর থেকে গোটা দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি হয়। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) নিহত কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন। এবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও (Rahul Gandhi) লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে দাবি, আপাতত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে। জনপ্রতিনিধিদের আগমনে নতুন করে অশান্তি হতে পারে, তাই এমন সিদ্ধান্ত।
দীর্ঘ টালবাহানার পর গতকালই উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে পিষ্ট হয়ে চার কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁকে পুলিশের তরফে আটক করার অভিযোগ ওঠে। এরপর সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকেও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল উত্তরপ্রদেশ পৌঁছালেও নিহত কৃষক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, উল্টে তীব্র বাধার মুখে পড়তে হয়। অনেক টানাপোড়েনের পর তাঁরা নিহত কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর পর রাহুল গান্ধীকেও লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল না যোগী প্রশাসন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার শোকপ্রকাশ করেছেন। এমনকী নিহত কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তারপরও প্রতিবাদ, বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। উত্তপ্ত গোটা এলাকা। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। সব মিলিয়ে এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর আগমনে নতুন করে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই প্রশাসনের তরফে এমন সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।