পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দানবাক্সে একসঙ্গে জমা পড়ল প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা
শুক্রবার অনল নবমী উপলক্ষে দানবাক্সে জমা পড়ল বিপুল অর্থ
দানবক্সে একদিনেই জমা পড়েছে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। সঙ্গে সোনা-রূপো তো আছেই! টাকা গুনতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা। জনা পাঁচেক লোক দানবাক্সের প্রণামী গুনতে পাঁচ ঘন্টা কাবার। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple) এমনই ঘটনা ঘটেছে। জগন্নাথ দেবের কাছে ভক্তদের প্রণামীর বহর দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ মন্দির কর্তৃপক্ষের। একসঙ্গে এত প্রণামী জমা পড়ায় এতদিনের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল এই ঘটনা।
চলতি সপ্তাহের শুক্রবার ছিল অনল নবমী। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী এদিন দান করলে পুণ্য অর্জন করা যায়। হিন্দু পৌরাণিক মতে এই দিনটিকে আবার অক্ষয় নবমীও বলা হয়। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের এই দিনটিতে সাড়ম্বরে পালিত হয় এই দিনটি। এদিন থেকেই নাকি সত্যযুগের শুরু। এমন পবিত্র দিনে ভাল কাজ করলে কিংবা দান-ধ্যান করলে জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নেমে আসে। এমন দিনে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি মারফত মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, একদিনেই মন্দিরের দানবাক্সে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির জেরে এমনিতেই বহুদিন বন্ধ ছিল পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির। ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খোলে। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় কেবল স্থানীয়দের প্রবেশাধিকার ছিল। পরে ধীরে ধীরে সবার জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর তার ফলেই একদিনেই মন্দিরের দানবাক্সে যে পরিমাণ নগদ অর্থ জমা পড়েছে, তা রীতিমতোই অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, একদিনেই প্রায় ২৮ লক্ষ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা জমা পড়েছে। সেইসঙ্গে ৫৫০ মিলিগ্রাম সোনা এবং ৬১.৭ গ্রাম রূপো জমা পড়েছে। সাধারণত গড়ে রোজ আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা জমা পড়ে। তবে একসঙ্গে এত অর্থ আগে জমা পড়েনি বলে সূত্রের খবর।