আরিয়ান খান মামলার নয়া মোড়, পুণে থেকে গ্রেফতার কিরণ গোসাভি
আত্মসমর্পণ নয়, গ্রেফতারই করা হয়েছে, জানিয়েছে পুণে পুলিশ
মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর মাদক মামলায় নয়া মোড়। আরিয়ান খান মামলার (Aryan Khan Case) সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে (Kiran Gosavi) গ্রেফতার করল পুণে পুলিশ। বেশ কয়েক দিন ধরেই তিনি বেপাত্তা ছিলেন। গত সোমবার তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের কথা জানিয়েছিলেন, তবে এদিন পুণে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন, এটা আত্মসমর্পণ নয়, আরিয়ান খান মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে পুণে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর নামে বেশ কয়েকটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরিয়ান খান মামলার সঙ্গে কিরণ গোসাভির সম্পর্ক কোথায়? গোটা ঘটনার সূত্রপাত একটি সেলফিকে কেন্দ্র করে। আরিয়ান খান গ্রেফতারের পর কিরণ গোসাভি আরিয়ান খানের সঙ্গে একটি সেলফি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যা দেখে অনেকেই বলেছিলেন কিরণ গোসাভি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কোন পদস্থ অফিসার, যদিও পরে জানা যায় তিনি একটি প্রাইভেট এজেন্সির মালিক। তাঁর সঙ্গে এনসিবির কোন সম্পর্ক নেই। এই প্রাইভেট এজেন্সি বিদেশে পাঠানোর কাজে মধ্যস্থতা করত। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত বলেও খবর। এর ভিত্তিতেই একজন অভিযোগ করেন, তাঁর কাছ থেকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হলেও তাঁর কোন শর্তই পালন করা হয়নি। তিনি গোসাভির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।
উল্লেখ্য, এরমধ্যেই কিরণ গোসাভির দেহরক্ষীর পরিচয় দিয়ে প্রভাকর সেল নামে এক ব্যক্তির চাঞ্চল্যকর দাবি আরিয়ান খান মামলা চুকিয়ে ফেলার জন্য ২৫ কোটি টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। আলোচনার পর নাকি ১৮ কোটি টাকায় তা রফা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন মুম্বই পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশের কাছে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেছেন। আরিয়ান খান মামলার জাল যখন ক্রমশ জটিল হচ্ছিল, ঠিক সেইসময়ই কিরণ গোসাভিকে আটক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।