দেশবিরোধী ভুয়ো খবর রটানোর অভিযোগে ব্যান পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল, কড়া পদক্ষেপ ভারত সরকারের
১৬ টি ইউটিউব চ্যানেল ব্যান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার
ফের ১৬ টি ইউটিউব (YouTube) চ্যানেল ব্লক করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার, এই চ্যানেলগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৬ টি পাকিস্তানি (Pakistan) চ্যানেলও। প্রত্যেকটি চ্যানেলই খবরের পাশাপাশি ব্লকড হয়েছে একটি ফেসবুক আইডিও। সূত্রের খবর, ভারত বিরোধী খবর সম্প্রচার করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে চ্যানেলগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলিতে যে ধরণের সংবাদ পরিবেশন করা হত, তাতে দেশের নিরাপত্তায় বড়সড় প্রভাব পড়ছে। প্রসঙ্গত, মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে আরও ১৮ টি চ্যানেল ব্যান করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে ৬ টি পাকিস্তানি ও ১০ টি ভারতীয় চ্যানেল ব্লকিংয়ের খবর উঠে এসেছে। উল্লেখ করা হয়েছে, "দেখা গেছে এই চ্যানেলগুলি ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল। মূলত সোশ্যাল মিডিয়াতেই তারা খবর শেয়ার করত। যার ফলে দেশের নিরাপত্তায় বড়সড় প্রভাব পড়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতের বৈদেশিক নীতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছিল। এমনকী, আইটি রুলস ২০২১-এর নিয়ম মেনে এই চ্যানেলগুলি চলছিল না। যার ফলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।"
এখানেই শেষ নয়, ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "ভারত ভিত্তিক কিছু চ্যানেল একটি সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসী হিসাবে উল্লেখ করেছে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ঘৃণার উদ্রেক করেছে। এই ধরণের বিষয়বস্তুতে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলিতে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী অযাচাইকৃত খবর ও ভিডিও প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।"
মন্ত্রকের মতে, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলি ইউক্রেনের পরিস্থিতির আঙ্গিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে জাল খবর পোস্ট করছিল। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিষয়ের উপর খবর পরিবেশন করা হত। পাশাপাশি দৃষ্টিগ্রাহী মশলাদার শিরোনাম ব্যবহার করে হলুদ সাংবাদিকতার প্রচার করছিল। এমনকি জঙ্গি গোষ্ঠী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হত এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের বিশ্বাসের উপর আঘাত করা হত। এই অভিযোগগুলির জন্যই ওই ১৬টি চ্যানেল সম্পূর্ণ ব্যান করা হয়েছে। ভারতীয় প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবর প্রকাশ বন্ধ করার জন্য গুগল এবং ফেসবুক-সহ টেক জায়ান্টদের উপদেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত সরকার।