১ লাখ ভুয়ো করোনা রিপোর্ট কুম্ভ মেলায়, সকলকে ফোন করবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন
কুম্ভমেলায় বেনিয়মের অভিযোগ যাচাই করতে ৮ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে
করোনা (Corona Pandemic) প্যানডেমিকের মাঝে উত্তরাখণ্ডে কুম্ভমেলায় (Kumbha Mela) অগুনতি মানুষের আগমনের দৃশ্য বারংবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারতের হরিদ্বারের কুম্ভমেলাকে সুপার স্প্রেডার ইভেন্ট হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। অনেকের মতে ভারতের বুকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম প্রধান কারণ হল এই কুম্ভ মেলা। শত বিতর্কের মাঝে কুম্ভ মেলায় মারাত্মক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কুম্ভ মেলায় আগত সাধুসন্তদের করোনা রিপোর্ট করানোর দায়িত্ব থাকা এক বেসরকারি সংস্থা টার্গেট পূরণ করার জন্য একাধিক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। তারা সেই সময় লক্ষাধিক ভুয়ো করোনা রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। এবার অভিযোগ জেনে নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। তারা একটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে ওই ১ লাখ লোককে ফোন করে দুর্নীতির কিনারা করতে।
জানা গিয়েছে, কুম্ভ মেলার মত মেগা ইভেন্টে করোনার গতিবিধি বেঁধে ফেলার জন্য দায়িত্বে ছিল বেসরকারি সংস্থা "ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস"। তারা সময়ের মধ্যে টার্গেট পূরণ করার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রায় ১ লাখ ভুয়ো করোনা রিপোর্ট পেশ করে। এই রিপোর্টগুলো দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের নামে যারা কোনদিন কুম্ভ মেলাতে অংশগ্রহণ করেননি। এছাড়াও এই বেসরকারি সংস্থা একটিমাত্র কিট থেকে ৭০০ জনের করোনা পরীক্ষা করেছে বলে পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ওই সংস্থা একটিমাত্র মোবাইল নাম্বার থেকে ৫০ জনের নাম রেজিস্টার করিয়েছিল। এছাড়া জানা গিয়েছে ওই সংস্থা স্যাম্পল নেওয়ার জন্য যে সমস্ত লোক পাঠিয়েছিল তারা কেউ স্বাস্থ্যকর্মী নয়। তারা বেশিরভাগ ছিলেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, না হয় পড়ুয়া। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। তারা ৮ জনের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে যারা ওই ১ লাখ মানুষকে ফোন করে জানবে তারা আদেও কুম্ভ মেলায় উপস্থিত ছিল নাকি।