আর গান গাইতে পারবে না হিরো আলম (Hero Alam)! হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। আমরা যারা স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটাই তাদের কাছে হিরো আলম নামটি বেশ পরিচিত। ইউটিউব (Youtube) ও ফেসবুকের (Facebook) ভাইরাল মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে বেশীরভাগ সময় রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, পল্লীগীতী গাইতে শোনা যায়। তবে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে তার বেশভূষা বেশ অন্যরকম দেখায়। আর এবার সেই কারণেই তাকে গান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত বুধবার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। হিরো আলমও তাতে সম্মতি জানিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

হিরো জানায়, তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। "গায়ক হওয়ার জন্য তিনি কুৎসিত" এমন একটি বন্ডে সইও করায় পুলিশ। হিরো আলমের কথায়, "পুলিশ সকাল ৬টায় আমাকে তুলে নিয়ে সেখানে ৮ ঘণ্টা আটকে রাখে। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি কেন রবীন্দ্র ও নজরুলের গান গাই?" ঢাকার প্রধান গোয়েন্দা হারুন উর রশিদ এই প্রসঙ্গে বলে, "আমরা তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। (তিনি) সম্পূর্ণ স্টাইল পরিবর্তন করবেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি এমনটা আর করবেন না।" হিরো আলম জানায়, "যেহেতু এটা নিয়ে সবখানেই সমালোচনা। আমি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, পল্লীগীতি গাইলে যেহেতু সবারই সমস্যা। পুলিশকে বলছি, ঠিক আছে এই ধরনের গান আমি আর গাইব না। আমি যে একেবারে গান গাইব না, তা বলি নাই। তাদের (রবীন্দ্র-নজরুল) গান না গাইলে সমস্যা কী?"
পুলিশের মতে, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জন্যই হিরো আলম এমন করে থাকেন। গানের পাশাপাশি তার নামের আগে হিরো বসানো নিয়েও আপত্তি প্রকাশ করে পুলিশ। আলম জানায়, "তারা (পুলিশ) আমাকে বলে, তোর চেহারা কি আয়নায় দেখছিস? তুই নিজেকে হিরো দাবি করিস! তুই আজকের পর থেকে তোর ‘হিরো’ নাম পাল্টাবি। শুধু আলম বলে পরিচয় দিবি। তোর জন্য বাইরের দেশে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তুই জানিস ‘হিরো’ শব্দের মানে কী। তুই সিনেমা দেখিস নাই হিরো কাকে বলে।" তাঁর সংযোজন, "আমার মনে হয় আমি একজন নায়ক। তাই আমি হিরো আলম নামটি নিয়েছি। যাই হোক না কেন এই নামটি বাদ দেব না। বর্তমানে মনে হচ্ছে আপনি বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে গানও করতে পারবেন না।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিরো আলম বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।